বার্সেলোনার ফরোয়ার্ড নেইমারকে শেষ পর্যন্ত বিচারের মুখোমুখি হতেই হচ্ছে। সান্তোস থেকে ব্রাজিলের এই তারকার কাম্প নউয়ে যোগ দেওয়ার প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগে বার্সেলোনার বর্তমান সভাপতি জোজেপ মারিয়া বার্তোমেউ ও তার পূর্বসূরি সান্দ্রো রোসেলেরও বিচার চালানোর আদেশ দিয়েছে স্পেনের জাতীয় হাই কোর্ট।
Published : 05 May 2017, 03:05 PM
নেইমারের অভিভাবক ও সান্তোসের কমকর্তাদেরও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
নেইমারের দুই বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও প্রায় ১০ লাখ ইউরো জরিমানা চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা। নেইমার ও অন্যরা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
২০১৩ সালে সান্তোস থেকে নেইমারকে কিনতে ৫ কোটি ৭১ লাখ ইউরো খরচ হওয়ার কথা প্রথমে জানিয়েছিলেন বার্সেলোনার তখনকার সভাপতি সান্দ্রো রোসেল। কিন্তু পরে ক্লাব স্বীকার করে যে, খেলোয়াড় ও তার বাবার সঙ্গে অন্যান্য চুক্তির কারণে ট্রান্সফার ফি বেড়ে ১০ কোটি ইউরোর কাছাকাছি হয়ে যায়।
নেইমার আর বার্সেলোনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে ব্রাজিলের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ডিআইএস যাদের কাছে নেইমারের ক্রীড়া স্বত্বের ৪০ শতাংশ ছিল। নেইমারের বার্সেলোনার যোগ দেওয়ার মূল ট্রান্সফার ফি গোপন করায় তাদেরকে ঠকানো হয়েছে বলে দাবি করে প্রতিষ্ঠানটি।
নেইমার ও বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ অবশ্য শুরু থেকেই সজ্ঞানে কোনোরকম কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
কিন্তু স্পেনের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা গত নভেম্বরে সান্তোস থেকে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার সময় দুর্নীতি করার অভিযোগে তারকা ফরোয়ার্ড নেইমারের দুই বছরের কারাদণ্ড চেয়ে আবেদন করে। এছাড়া বার্সেলোনার সাবেক সভাপতি রোসেলের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও কাতালান ক্লাবটিকে ৮৪ লাখ ইউরো জরিমানার শাস্তি চায়।
পরে নেইমার, তার অভিভাবক ও বার্সেলোনা তাদের বিরুদ্ধে মামলা চালানোর বিরুদ্ধে আপিল করে। গত ফেব্রুয়ারিতে হাই কোর্ট সেই আপিল খারিজ করে দেয়। গত সপ্তাহে খারিজ হয় বার্তোমেউয়ের আপিলও। এরপর বৃহস্পতিবার আদালতের এই আদেশ এল।
অবশ্য দোষী প্রমাণিত হলেও নেইমারকে হয়তো জেলে জেতে হবে না। স্পেনের আইন অনুযায়ী, সহিংস অপরাধ না করলে সাধারণত দুই বছরের নীচে সাজার ক্ষেত্রে কারাবাস হয় না।