জাতীয় দল: আলজেরিয়া (২৪ ম্যাচ, ৪ গোল)
বয়স: ২৫ বছর
পেশাদার অভিষেক: কুইম্পের (২০১০)
সাবেক ক্লাব: এএএস সার্সেলেস, কুইম্পের, লে হাভরে
পূর্বের সাফল্য: চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা (লেস্টার), আলজেরিয়ার বর্ষসেরা ফুটবলার
লেস্টারে আসার ট্রান্সফার ফি: ৪ লাখ পাউন্ড (২০১৪)
অখ্যাত কিন্তু মেধাবী এই ফরোয়ার্ডের জন্ম প্যারিসের শহরতলী সার্সেলেসে। মাহরেজের ১৫ বছর বয়সেই তার বাবা আহমেদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
কিশোর বয়সের ক্লাব সার্সেলেস থেকে ২০০৯ সালে পারিস থেকে ৩৫০ মাইল দূরে কুইম্পেরে যোগ দেন তিনি। প্রথম ছয় মাস বর্তমানে ফরাসি ফুটবল লিগের চতুর্থ বিভাগে খেলা ক্লাবটির দ্বিতীয় দলে খেলার পর মূল দলে সুযোগ পান মাহরেজ।
২০১০ সাল পর্যন্ত নাকি মাহরেজ ঠিকমতো থ্রো করতেও পারতেন না। সেই সঙ্গে ছিল তার শারীরিক গঠন নিয়ে দু:শ্চিন্তা।
ছয় বছর আগের সেই চর্মসার মাহরেজই হয়ে উঠলেন ফুটবল বিশ্বের অন্যতম তারকা; এবারের প্রিমিয়ার লিগে ১৭টি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে ১১টি গোল করিয়ে প্রথম আফ্রিকান খেলোয়াড় হিসেবে জিতেন পিএফএ বর্ষসেরা খেলোয়াড়।
জাতীয় দল: ইংল্যান্ড (৬ ম্যাচ, ২ গোল)
বয়স: ২৯
পেশাদার অভিষেক: ফ্লিটউড টাউন (২০১১)
সাবেক ক্লাব: স্টকব্রিজ পার্ক স্টিলস, হ্যালিফ্যাক্স টাউন, ফ্লিটউড টাউন
পূর্বের সাফল্য: চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা (লেস্টার), কনফারেন্স প্রিমিয়ার শিরোপা (ফ্লিটউড), নর্দান প্রিমিয়ার লিগ প্রিমিয়ার ডিভিশন (হ্যালিফ্যাক্স)
লেস্টারে আসার ট্রান্সফার ফি: ১০ লাখ পাউন্ড (২০১২)
ইংলিশ ফুটবলের অষ্টম সারির দল স্টকব্রিজে খেলার সময় একবার কাউকে শারীরিকভাবে আঘাত করায় গ্রেপ্তা হয়েছিলেন ভার্ডি। এরপর থেকে সন্ধ্যা ছয়টার পর তার বাইরে বেরুনোর অনুমতি ছিল না। তাই অ্যাওয়ে ম্যাচগুলোতে মাত্র এক ঘণ্টা খেলতে পারতেন ঠিক সময়ে ফেরার জন্যে। তখন তার বয়স ছিল ২০ বছর এবং সেসময় তার সাপ্তাহিক আয় ছিল ৩০ পাউন্ড।
২০১১-১২ মৌসুমে ফ্লিটউডে ৩১ গোল করেছিলেন ভার্ডি এবং তার দারুণ এই পারফরম্যান্সে প্রথমবারের মতো এই দল ফুটবল লিগে উঠেছিল।
কোনো লিগে না খেলা খেলোয়াড়দের মধ্যে ১০ লাখ পাউন্ড রেকর্ড ট্রান্সফার ফির বিনিময়ে ২০১২ সালে লেস্টারে যোগ দেন ভার্ডি।
গত নভেম্বরে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে টানা ১১ ম্যাচে গোল করার অসাধারণ কীর্তি গড়া ভার্ডির সঙ্গে ফেব্রুয়ারিতে তিন বছরের নতুন চুক্তি করে লেস্টার।
জাতীয় দল: ফ্রান্স (২ ম্যাচ, ১ গোল)
বয়স: ২৫
পেশাদার অভিষেক: বোলোনিয়া (২০১২)
সাবেক ক্লাব: বোলোনিয়া, ক্যঁ
পূর্বের সাফল্য: নেই
লেস্টারে আসার ট্রান্সফার ফি: ৫৬ লাখ পাউন্ড (২০১৫)
ফরাসি ফুটবলের দ্বিতীয় সারির দল বোলোনিয়ার হয়ে ২০১১ সালে অভিষেক হয় কান্তের। কিন্তু পরের মৌসুমে তার দল নেমে যায় তৃতীয় সারির প্রতিযোগিতায়। সেখানে ভালো পারফরম্যান্স করায় ২০১৩ সালে তাকে দলে নেয় ক্যঁ। এই দলের হয়ে প্রথম মৌসুমে ৩৮ ম্যাচের সবকটিতে খেলেন এবং পরের মৌসুমে একটি ম্যাচ কম খেলেন।
তরুণ বয়সে কান্তে তার আশেপাশের খেলোয়াড়দের তুলনায় খুব ছোট ছিলেন। তাই কোনো দল পেতেই তাকে অনেক কষ্ট করতে হয়। পরে বোলোনিয়ায় পাড়ি জমান তিনি। প্যারিসের শহরতলী সুরেসনেসের তখনকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় অপেশাদার এক ক্লাবে খেলার সুযোগ পান।
মাঝমাঠে তার কাজের হার, বল আটকানো ও ট্যাকল করার গুণের জন্য প্রশংসিত কান্তে। আগ্রাসী মনোভাব ও নিবিড় অধ্যাবসায়ের জন্য কান্তেকে তার ক্লাব সতীর্থ ড্যানি ড্রিঙ্কওয়াটার ডাকেন 'দ্য র্যাশ' নামে।
জাতীয় দল: জ্যামাইকা (২৫ ম্যাচ)
বয়স: ৩২
পেশাদার অভিষেক: নটিংহ্যাম ফরেস্ট, ২০০৩
সাবেক ক্লাব: নটিংহ্যাম ফরেস্ট
পূর্বের সাফল্য: লিগ ওয়ান রানার্স-আপ (নটিংহ্যাম ফরেস্ট), চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা (লেস্টার), কানকাকাফ গোল্ড কাপ রানার্স-আপ (জ্যামাইকা)
লেস্টারে আসার ট্রান্সফার ফি: ১০ লাখ পাউন্ড (২০১২)
শৈশবের ক্লাব নটস কাউন্টি ২০০০ সালে তাকে ছেড়ে দেওয়ার পর এক বছর মেয়াদে ডানকির্কে যোগ দেন মর্গ্যান। এরপর ফুটবল ছেড়ে হিসাবরক্ষক হওয়ার প্রচেষ্টায় ছিলেন তিনি, কিন্তু এরই মাঝে নটিংহ্যাম ফরেস্ট তাকে দলে নেয়।
২০১২ সালে লেস্টারে যোগ দেওয়ার আগে নটিংহ্যামের হয়ে ১২৩টি লিগ ওয়ানের ম্যাচসহ মোট ৩৭৯ ম্যাচ খেলেন মর্গ্যান।