এ বছরের বন্যায় গাইবান্ধার সাতটি উপজেলায় তিন হাজারের বেশি নলকূপ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
Published : 19 Sep 2017, 10:34 AM
গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহমুদ আলম জানান, জেলার সাতটি উপজেলায় ২২ হাজার ৫১৪টি অগভীর নলকূপ রয়েছে। এগুলোর তিন হাজার ৩১টি অগভীর নলকূপ নষ্ট হয়ে গেছে।
“এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৬২৫টি, সাঘাটায় ৮০২টি, ফুলছড়িতে ৭৫৩টি, পলাশবাড়ীতে ২৪৫টি, সাদুল্যাপুরে ১৫৬টি, গোবিন্দগঞ্জে ১৩১টি ও সুন্দরগঞ্জে ৩১৯টি নলকূপ নষ্ট। এসব এলাকার লোকজন বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছে না।”
গত ১৩ অগাস্ট থেকে বন্যা শুরু হয়। পানি নেমে যেতে থাকে ৩০ অগাস্ট থেকে।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, ১৭দিন পানিতে ডুবে থাকায় নলকূপগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এগুলোতে পানি উঠছে না। বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকে নদীর পানি ব্যবহার করছে।
ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের গৃহিনী আনজু আরা বললেন, “আংনাত (আঙ্গিনা) এ্যকনা কল (নলকূপ) আচিল, তাক বানের পানিত ডুবি থাকি নসটো হচে। দূর থাকি পানি আনি খাবার নাগচি। কাউয়ো ভালো করব্যার আইসে নাই।”
একই গ্রামের কৃষক আমির আলী বললেন, “হামার ঘরপাড়াত একনা সোরকারি কল আচিল। সেটা বানোত নসটো হচে। গায়োত মেকার নাই। ভালো করতে ম্যালা ট্যাকা নাগে। ট্যাকা পামো কোনটে।”
সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের গোঘাট গ্রামের কৃষক রানা মিয়া বললেন, “এ্যাকবেলা না খায়া থাকা যায়, কিনতো পানি ছাড়া চলে না। সেই কল বানোত নসটো হয়া আচে। নদীর পানি আনি খাবার নাগচি।”
এ বিষয়ে উড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহাতাব উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অকেজো নলকূপ মেরামতের জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকে জানানো হয়েছে।
নলকূপ মেরামতের বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহমুদ আলম বলেন, বন্যার পর জেলার ৫১৩টি নষ্ট হওয়া নলকূপ মেরামত করা হয়েছে। অবশিষ্ট নলকূপ মেরামতে ২৪ জন মেকানিক কাজ করছেন।