রংপুরে খাদেম হত্যা মামলায় আরও ৬ জনের সাক্ষ্য

রংপুরে মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলায় আরও ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

সোমবার সকালে রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে রহমত আলীর প্রতিবেশী মনোয়ারা বেগম, আব্দুল কাদের, বাছের উদ্দিন, মোত্তালেব মিয়া, রহমত আলী ও নজরুল ইসলাম সাক্ষ্য দেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রথীশ চন্দ ভৌমিক বাবু সোনা জানান।

সাক্ষ্য শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন।

রথীশ বলেন, রহমত আলীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখেন বলে বাদীরা আদালতে জানিয়েছেন।

রহমত হত্যায় জঙ্গিরা রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের চৈতার মোড় এলাকার একটি মসজিদে আস্তানা করেছিল বলে আব্দুল কাদের, বাছের উদ্দিন, মোত্তালেব, রহমত আলী ও নজরুল ইসলাম আদালতকে জানান।

তিনি বলেন, “রহমত আলী পীরবাদের তরিকায় বিশ্বাসী ছিলেন বলে জঙ্গিরা তাকে একাধিকবার হত্যার হুমকি দিয়েছিল। এনিয়ে ভয়ে-আতঙ্কে তিনি কম চলাফেরা করতেন বলেও বাদীরা সাক্ষ্যে জানিয়েছেন।”    

এ নিয়ে ৫৪ জনের সাক্ষির মধ্যে মামলার বাদী খাদেমের ছেলে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলামসহ ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হল। সাক্ষ্য গ্রহণের সময় ১২ আসামির মধ্যে কারাগারে থাকা নয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

মঙ্গলবার ও বুধবার ছয়জন করে মোট ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে বলেও রথীশ জানিয়েছেন।

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের চৈতার মোড়ে মাজার শরীফের খাদেম রহমত আলীকে (৬০) ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাতে বাড়ি ফেরার সময় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ছেলে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।

তদন্ত শেষে কাউনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মামুন অর রশীদ গত বছরের ৩ জুলাই জেএমবির রংপুর আঞ্চলিক কমাণ্ডার মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রীসহ ১৪ জেএমবির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

দুই আসামির মৃত্যু হওয়ায় গত ১৬ অগাস্ট রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকার জেএমবির ১২ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।