বিচার অঙ্গনকে কলুষিত ও কলঙ্কিত করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ও সাংসদ শেখ ফজলে নূর তাপস।
Published : 27 Aug 2017, 08:46 PM
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রোববার নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তাপস বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায়ের বক্তব্য ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তারা বিচারাঙ্গনকে কলুষিত, কলঙ্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে ‘জুডিশিয়াল এনারকি’ সৃষ্টি করতে চায়।
“এই জুডিশিয়াল এনারকি সৃষ্টি করে তারা একটি সংকট সৃষ্টি করতে চায়। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতাকে নষ্ট করে তারা অন্য পথে নতুন করে সরকার গঠন করতে চায়।”
বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে করা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় গত ১ অগাস্ট প্রকাশের পর থেকেই প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করছেন সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারপতি সিনহা ‘জাতীয় সংসদ ও বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ করেছেন’ অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগ নেতারা তার পদত্যাগও দাবি করেছেন।
ড. কামাল হোসেন ও মাহমুদুর রহমান মান্না গংরা বিচার বিভাগ নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে তাপস অভিযোগ করেন।
সাংসদ তাপস বলেন, “ষড়যন্ত্রকারীরা চেষ্টা করছে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে কিছু করার, তারা চেষ্টা করছে বিভিন্ন দিক দিয়ে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে যুদ্ধাপরাধীদের দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত ও তাকে হত্যা করার।
“সবকিছু যখন তারা ফেইল করল, এখন তারা ভর করেছে আমাদের আস্থার ঠিকানা, সাধারণ মানুষ যেটাকে সম্মানের জায়গায় রাখে সেই বিচার অঙ্গনের উপর।”
সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বলেন, “আপনি যে ড. কামাল হোসেন হয়েছেন শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর কারণে। মাহমুদুর রহমান মান্না আপনাকে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বানিয়ে সম্মান দিয়েছেন। যদি আপনাকে এটা না করত তাহলে আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তায় ঘুরতেন। মুনাফেকির সীমা থাকে। বিশ্বাসঘাতকতার সীমা থাকে।”
জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি আনিসুর রহমান দিপুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহবায়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আব্দুল বাসেত মজুমদার প্রমুখ।