সোমবার ভোরে নগরীর শ্যামলী এলাকার একটি মেস থেকে তাদের আটক করা হয় বলে এক সংবাদ সম্মেলনে সিলেট কোতোয়ালি থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার সাদেক কাউসার দস্তগীর জানান।
এরা হলেন সিলেট সরকারি কলেজ শিবিরের সাধারণ সম্পাদক ফয়সল আহমদ (২৮), একই কলেজের শিক্ষার্থী তোফায়েল আহমদ (২৪) ও সেলিম উদ্দিন (২২)।
গত ৭ অগাস্ট নগরীর সোবহানীঘাটে মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী শাহীন আহমদ (২২) ও জালালাবাদ কলেজ ছাত্রলীগকর্মী আবুল কালাম আসিফকে (১৮) কুপিয়ে জখম করা হয়।
হামলায় শাহীনের ডান হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়; বাম হাতের একাধিক স্থান ও দুই পায়ের বিভিন্ন স্থানে এবং আসিফের ডান পায়ের গোড়ালিসহ হাত ও পায়ের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়।
হামলার জন্য ছাত্রশিবিরকে দায়ী করে ছাত্রলীগ।
এ ঘটনায় সাতজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও চারজনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা সাদেক বলেন, শাহীন ও আসিফের উপর হামলা মামলায় ফয়সল, তোফায়েল ও সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হামলার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
তাদেরকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়া একই মেস থেকে আরও ছয় ছাত্রশিবির নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
এরা হলেন কানাইঘাটের চড়িপাড়া গ্রামের অজই মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (২২), ছাতক উপজেলার আনুজানি গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে এমদাদ হোসেন (২১), গোয়াইনঘাটের বহর গ্রামের মবশ্বির আলীর ছেলে কামিল আহমদ সোহেল (২০), বিয়ানীবাজারের মাতুরা গ্রামের তারেক আহমদ (২২), নগরীর বনকলাপাড়ার নতুন মসজিদ কোয়ার্টারের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ (২৩), একই এলাকার নুরানী ৮২/১৪ বাসার বাসিন্দা সফি উদ্দিন (২৩)।
তাদের কাছ থেকে শিবিরের সাংগঠনিক কাজে ব্যবহৃত বই জব্দ করা হয়েছে।