সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদ শূন্য থাকায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে প্রশাসনিক কার্যক্রমে।
Published : 10 Aug 2017, 07:02 PM
গত ২৭ জুলাই থেকে উপাচার্যের পদটি ফাঁকা থাকার ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
২০১৩ সালের ২৬ জুলাই থেকে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করে আসা অধ্যাপক আমিনুল হক ভূইয়ার মেয়াদ শেষ হয় গত ২৭ জুলাই। এরপর থেকে পদটি খালি রয়েছে।
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্যানেল করে উপাচার্য নির্বাচন করা হয়ে থাকলেও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার থেকেই নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উপাচার্য না থাকায় প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ আছে। যেকোননো ধরনের আর্থিক সংস্থান, নিয়োগ প্রক্রিয়া, প্রকল্প অনুমোদন সবই বন্ধ।
ক্লাস-পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও সনদ, নম্বরপত্র কিংবা পরীক্ষার ফলাফল পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রানা কায়সার বলেন, “সার্টিফিকেট তোলার জন্য অপেক্ষা করছি। কবে নতুন উপাচার্য আসবেন আর সার্টিফিকেট তুলব তা জানা নেই।”
বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বাইরের প্রায় ১১টি সরকারি, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, নাসিং কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা এফিলিয়েটেড হিসেবে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের সার্টিফিকেট গ্রহণ করে থাকেন। উপাচার্য না থাকায় এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও পড়েছেন বিপাকে।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ বলেন, “অনেক দিন সার্টিফিকেটের জন্য গিয়েছি শাবি ক্যাম্পাসে। উপাচার্য না থাকায় সার্টিফিকেট ছাড়াই ফিরতে হয়েছে।”
প্রশাসনিক কাজে স্থবিরতার কথা স্বীকার করে সাবেক সিন্ডিকেট সদস্য হাসান জাকিরুল ইসলাম বলেন, “উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে নীতি নির্ধারণী কোনো কাজ করা সম্ভব না। আর্থিক কোনো কাজের অনুমোদনের জন্য উপাচার্যের স্বাক্ষর আবশ্যক।
“এছাড়া সার্টিফিকেট, মার্কশিট, পদোন্নতি, শিক্ষা ছুটির জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শেষ নেই।”
শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন শিশির বলেন, “উপাচার্য যেহেতু সর্বোচ্চ অথরিটি, তার অনুপস্থিতিতে অনেক সমস্যা হয়। নীতি নির্ধারণের কাজে অনুমোদনের জন্য তার স্বাক্ষর লাগে। ফলে এক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।”
কবে নতুন উপাচার্য নিয়োগ হতে পারে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার বলেন, “উপাচার্য না থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সুযোগ-সুবিধা, অসুবিধা আচার্য দেখবেন, এটাই নিয়ম। প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে।
“তারা বলছেন, শিগগির নতুন উপাচার্য নিয়োগের ব্যবস্থা করবেন।”