২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর উপজেলার সাতুটিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম রোমার বিরুদ্ধে এক নারী ও তার ছেলেকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় এলাকাবাসী প্রতিবাদে নামে।
এরপর ঘাটাইলের হামিদপুর বাজারে ও কালিহাতী সদরে বিক্ষোভ মিছিল বের হলে পুলিশের গুলিতে চারজন মারা যান, গুলিবিদ্ধ হন আরও সাতজন।
এ ঘটনায় সাত পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিকভাবে পুলিশ লাইন্সে প্রত্যাহার করার পাশাপাশি বিভাগীয় মামলা হয়।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মাহবুব আলম বলেন, “পুলিশের গুলি বর্ষণের এ ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
“শাস্তি হিসেবে চারজনকে চাকরি থেকে অপসারণ করার পাশাপাশি দুই থেকে পাঁচ বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে তিনজনের ইনক্রিমেন্ট।”
মঙ্গলবার বিভাগীয় এ মামলায়র রায় দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
চাকরিচ্যুতরা হলেন - ঘাটাইল থানার তৎকালীন এসআই মুনসুর আহমেদ ও সলিম উদ্দিন, কনস্টেবল জিয়াউল হক ও আমিনুল ইসলাম।
এছাড়া এসআই ওমর ফারুকের ইনক্রিমেন্ট পাঁচ বছরের জন্য, এসআই আবুল বাশারের ইনক্রিমেন্ট তিন বছরের জন্য, আর কনস্টেবল তমাল চন্দ্র দের ইনক্রিমেন্ট দুই বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার মাহবুব আলম।
২০১৫ সালের সে ঘটনায় নিহতরা হলেন – ঘাটাইল উপজেলা সদরের ফারুক হোসেন (৩২), কালিয়া গ্রামের শামীম (৩৫), কালিহাতী উপজেলা সদরের শ্যামল দাস (১৫) ও বেতডোমা গ্রামের রুবেল হোসেন (২০)।
ফারুকের মা সুমলা বেগম এ রায়ে অসন্তোষ জানিয়ে বলেছেন, যাদের কারণে এ ঘটনা ঘটেছিল, সেই রোমার তো কোনো বিচার হল না।
“মাঝখান থেকে আমার ছেলেই বা মরবে কেন আর পুলিশই বা চাকরি হারাবে কেন?”
কালিহাতী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোজহারুল ইসলাম তালুকদার এ রায় গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, “বিভাগীয় মামলার এ রায়ে কালিহাতীবাসীর মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থা ফিরে এসেছে বলে আমি বিশ্বাস করি।”