পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মহিদুল ইসলাম জুগিয়া দর্গাপাড়ার বাড়িতে শুক্রবার বিকালে তার ষষ্ঠ শ্রেণির মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেন।
সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাওয়া যায়।
“বিয়েটি আইনবিরুদ্ধ হওয়ায় তা বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ছাত্রীর বাবা কাউন্সিলর মহিদুল ইসলাম ভুল স্বীকার করে মুচলেকা দিয়েছেন।”
জুগিয়া আদর্শপাড়ার নাসির উদ্দিনের ছেলে পারভেজ আহমেদের (৩২) সঙ্গে এই বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল।
কাউন্সিলর মহিদুলের পরিবারের সদস্যরা জানান, বিয়ের অনুষ্ঠানে দেড় হাজার অতিথিকে দাওয়াত করা হয়। ভোজের জন্য জবাই করা হয় ১০টি ছাগল ও তিনটি গরু।
রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মকর্তাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। কিন্তু কাউন্সিলর মুচলেকা দেওয়ায় তারা বিয়ে ছাড়াই খেয়েদেয়ে চলে যান।
জুগিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামসুর রহমান বলেন, “বিয়ের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে এমন খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গেই ছাত্রীর অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। বোঝেন তো, সমাজের প্রভাবশালীদের কাছে স্কুলশিক্ষকদের কথার কি মূল্য আছে?”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা বলেছেন, যেহেতু কাউন্সিলরের মেয়ের বিয়ে এবং অনুষ্ঠানে প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ সব ভিআইপিকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে; সে কারণে বাল্যবিয়ে জেনেও কেউ কিছু বলার সাহস পায়নি।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর মহিদুল বলছেন, ‘পারিবারিক একটি কারণে’ তিনি এই বিয়ে ঠিক করেছিলেন, কিন্তু আইনগত জটিলতার কারণে এ সিদ্ধান্ত থকে সরে এসেছেন।