কক্সবাজারে পাহাড়, দেয়াল ধসে নিহত ৫

ভারি বৃষ্টির মধ্যে পাহাড় ও ঘরের দেয়াল ধসে কক্সবাজারে দুই শিশু সহোদরসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে; আহত হয়েছেন আরও অন্তত পাঁচজন।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 July 2017, 02:37 AM
Updated : 25 July 2017, 08:51 AM

জেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক জানান, মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে কক্সবাজার শহর ও রামু উপজেলায় চারজনের মৃত্যু হয়।

আরও একজন মারা যান পেকুয়া উপজেলায়।

নিহতরা হলেন – রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের চেইন্দা এলাকার জিয়াউর রহমানের মেয়ে সায়মা (৫), ছেলে জিহান (৭), সদর উপজেলার চৌফলদণ্ডী ইউনিয়নের খামারপাড়ার নূরুল হকের ছেলে মোহাম্মদ শাহেদ (১৮), পিএমখালী ইউনিয়নের ধামনখালী এলাকার এরশাদ উল্লাহর ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৮) ও পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের হাছানের ঝুমের মোহসেন আলীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৬০)।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মালেক বলেন, কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকার পাহাড় ধসে ঘটনাস্থলে মারা যান শাহেদ। এখানে আহত তিনজনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে সাদ্দাম নামে আরও একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

চিকিৎসাধীন অন্য দুইজন হলেন - উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের মরিচ্যা এলাকার দেলোয়ার হোসেন (২৫) ও নিহত সাদ্দামের বড় ভাই আরফাত হোসেনকে (৩০)।

রামুর ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় একটি পরিবার।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মালেক বলেন, রামুর চেইন্দা এলাকার পাহাড় ধসে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যায় সায়মা ও তার ভাই জিহান। এ সময় মাটিচাপায় আহত হন তাদের বাবা জিয়াউর রহমান (৩৫) ও মা আনার কলি (২৯)। তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়া পেকুয়া উপজেলায় মাটির ঘরের দেয়াল ধসে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।

টইটং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সোমবার বিকাল ৩টার দিকে পাহাড়ি এলাকায় হাছানের ঝুমে বৃদ্ধার মাটির ঘরের দেয়াল ধসে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই আনোয়ারা মারা যান।
অতিবৃষ্টির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে মনে করছেন চেয়ারম্যান জাহেদুল।

নিহতের পরিবারকে অর্থসহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুল করিম।

ভারি বৃষ্টির কারণেই পাহাড় ধসের এসব ঘটনা ঘটছে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।

বৃষ্টিপাত সম্পর্কে কক্সবাজারের সহকারী আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, সোমবার দুপুর থেকে কক্সবাজারে থেমে থেমে ভারি বৃষ্টি শুরু হয়। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অবিরাম ধারায় শুরু হয়।

সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২০৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মঙ্গল ও বুধবার আরও বৃষ্টির মধ্যে পাহাড় ধসের আশংকা রয়েছে।