হাতিয়ায় নৌ চলাচল বন্ধ, জেলা শহরে পানি

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করছে স্থানীয় প্রশাসন।

নোয়াখালী প্রতিনিধিআবু নাছের মঞ্জু, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 July 2017, 05:45 PM
Updated : 20 July 2017, 05:45 PM

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুব্রত কুমার দে জানান, সমুদ্রে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত থাকায় মানুষের জানমাল রক্ষায় বুধবার থেকে হাতিয়ার চেয়ারম্যানঘাট-তমরদ্দি-চরচেঙ্গা ও চেয়ারম্যানঘাট-নলচিরা রুটের দুটি সরকারি সি-ট্রাকসহ সব ধরনের নৌ  চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, নোয়াখালীর মূল ভূখণ্ড থেকে দ্বীপ উপজেলায় যাতায়তের জন্য বিআইডব্লিউটিসির চরচেঙ্গা-চেয়ারম্যানঘাট রুটে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাদ ও চেয়ারম্যানঘাট-নলচিরা রুটে শেখ ফজলুল হক মনি নামের দুটি সি-ট্রাক রয়েছে। প্রতিটি সি-ট্রাকের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৩০০ জন করে। প্রতিদিন দুইবার ঘাট থেকে ছেড়ে যায় সি-ট্রাক দুটি।

বুধবার সকাল থেকে সি-ট্রাক দুটি বন্ধ থাকায় দুইপাড়ে আটকে পড়েছে অনেক যাত্রী।

এদিকে, সকাল তেকে টানা বর্ষণে জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক, সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও আবাসিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের ভেতরে পানি জমে আছে। এছাড়া জেলা প্রশাসকের বাংলো, পুলিশ সুপারের বাংলো এবং সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে ও বাসার সামনে হাঁটু পানি জমে আছে।

নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ, নোয়াখালী সরকারি কলেজ, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মাইজদী হাউজিং এস্টেট, সরকারি আবাসিক এলাকা, মাষ্টার পাড়া, লইয়ার্স কলোনি, হরিনারায়ণপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধাতার কারণে জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।

পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ বলেন, পানি নামার ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা এলেই সার্কিট হাউজ সড়কসহ পাশের বাসাগুলো জলমগ্ন হয়ে পড়ে।

শহরের ওপর দিয়ে যাওয়া খালের পানি প্রবাহ সচল এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কারের মধ্যদিয়ে জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান জরুরি বলে মনে মত দেন তিনি।

নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্ল্যাহ খাঁন সোহেল বলেন, শহরের জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। অচিরেই খালগুলো দখলমুক্ত ও সংস্কার করা হবে।