সোমবার মেয়েটির চাচা বাদী হয়ে মামলা করেছেন বলে দাগনভূঞা থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান।
মামলার পর চার যুবককে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
রোববার উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের খুশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ওসি।
মেয়েটিকে ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শিশুটির পরিবার জানায়, শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েটি রোববার সকালে বিদ্যালয়ে যায়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ছুটিতে থাকায় দুপুরে ছুটি হয়ে গেলে মেয়েটি ভুলে শ্রেণিকক্ষে তার ব্যাগ ফেলে চলে আসে।
“বিকালে চাচাত বোনকে নিয়ে ব্যাগ আনতে স্কুলে গিয়ে দেখে একটি কক্ষে স্থানীয় কয়েক যুবক আড্ডা দিচ্ছে। চাচাত বোনকে আরেক কক্ষে আটকে রেখে মাসুদ নামে এক যুবক মেয়েটিকে একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে।”
রাতে বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়েটিকে ফেনী জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানায় তার পরিবার।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অসীম কুমার সাহা বলেন, সোমবার দুপুরে মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তাকে হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
খুশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল করিম বলেন, রোববার তিনি ছুটিতে ছিলেন। ঘটনাটি জেনে শিশুটির বাড়িতে গিয়ে তাকে প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
ওসি আবুল কালাম বলেন, ঘটনাটি শুনে তিনি মেয়েটিকে দেখতে হাসপাতালে যান। পরে মেয়েটির চাচা বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই মামলায় চার যুবককে আটক করে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
“তাছাড়া ঘটনায় জড়িত সামুদসহ অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”