শাহ আলম নামের ওই ব্যক্তি গত সোমবার নিখোঁজ হন বলে কর্তৃপক্ষ জানায়। শাহ আলম কাশিয়ানী উপজেলার মাইজকান্দি গ্রামের সাহিদ তালুকদারের ছেলে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার শাহ আলমের ছোট ভাই গোলাম রাব্বী গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি আনিসুর রহমান জানান, বছর খানেক আগে হাফেজ মো. শাহ আলম বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে যোগ দেন।
“সোমবার বেলা ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ থেকে তিনি বের হয়ে যান। পরে ফিরে না আসায় মসজিদের ইমাম বিয়য়টি আমাকে জানান।”
মসজিদের ইমাম মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সেমবার এ ঘটনায় থানায় জিডি করার পর পুলিশ মসজিদে এসেছিল।
শাহ আলমের ছোট ভাই গোলাম রাব্বী বলেন, রোববার শাহ আলম মায়ের মোবাইলে ফোন দিয়ে বলেন, ফ্রিজ কিনে নিয়ে সোমবার বিকালে বাড়ি আসবেন।
“কিন্তু সোমবার তার বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় আমাদের সন্দেহ হয়। পরে তার মোবাইলে ফোন করে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। সেমবার সন্ধ্যায় আমার ভাই আল আমীন তালুকদার বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে মুয়াজ্জিন ভাইয়ের খোঁজ নিলে তাকে বিকাল থেকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমার ভাইকে জানায়।”
তিনি আরও বলেন, “সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজে না পেয়ে নিখোঁজ হয়েছে মর্মে আমরা থানায় জিডি করেছি। তবে তার শত্রু আছে কিনা তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়।”
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি সেলিম রেজা বলেন, মুয়াজ্জিন নিখোঁজের ব্যাপারে সোমবার থানায় জিডি করা হয়েছে। পুলিশ তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। তাকে খুঁজে বের করতে পারলে প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।