তবে জামালপুর রেলস্টেশন মাস্টার মির্জা মো. শামছুল আলম কোনো টিকেট কালোবাজারি হয়নি দাবি করে বলছেন, জামালপুরে চারটি আন্তঃনগর ট্রেনের আসন মাত্র ৬০৮টি। আর ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন এখান থেকে অন্তত ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করছে।
সরজমিনে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ দেখা গেছে। বেশির ভাগ যাত্রী গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে, অনেকে ছাদে ও কোনায় ঝুলে জীবনের ঝুঁকি রওনা হচ্ছে ঢাকার পথে।
শেরপুরের মিরাজ আহম্মেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কয়েক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে কাউন্টারে পৌঁছানোর পর জানতে পারেন টিকেট নেই। পরে তিনি কালোবাজারির সন্ধানে বের হন।
“কালোবাজারিদের কাছে টিকিট আছে, কিন্তু দাম কয়েকগুণ বেশি। হাতে অতিরিক্ত টাকা না থাকায় অবশেষে কাউন্টারে ফিরে আসনবিহীন টিকিট সংগ্রহ করি।”
অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কালোবাজারে একটি ১৯০ টাকার শোভন টিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। ২৫৫ টাকার প্রথম শ্রেণির টিকেট তারা বেচছে হাজার টাকায়। ৩৬৮ টাকার এসি টিকেটের দাম দুই হাজার টাকা।
মেলান্দহের ফুলকোচার শাহীনুল ইসলাম বলেন, “কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে কালোবাজারিদের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম। সেখানে শোভন শ্রেণির ১৯০ টাকার টিকিট ৬০০ টাকা দেখে সংগ্রহ করতে পারিনি।”
অবশেষে তিনি বিনা টিকেটে তিস্তা ট্রেনের ছাদে উঠে ঢাকার পথে রওনা হন।
এদিকে জামালপুর থেকে ঢাকাগামী বিভিন্ন বাসও চলছে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে। বাসের ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক ও পিকআপে উঠে ঢাকায় যাচ্ছে।