হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়ার পর ‘দুই দল মাদক বিক্রেতার মধ্যে গোলাগুলিতে’ তার মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের দাবি।
নিহত সাব্বির হোসেন (২৫) বাঘারপাড়া উপজেলার খলিলপুর গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে।
বাঘারপাড়া থানার এসআই নিয়ামুল জানান, সোমবার ভোর ৪টার পর যশোর-নড়াইল সড়কের আয়াপুরে তার লাশ পাওয়া যায়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, আয়াপুরে দুই দল মাদক বিক্রেতার মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান।
“সেখানে সাব্বিরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার ঘাড়ের বাম পাশে মাথার নিচে গুলি লেগেছে।”
ঘটনাস্থল থেকে ১০৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেন এসআই নিয়ামুল।
বাঘারপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ ওহিদুজ্জামান জানান, রোববার বিকালেই সাব্বিরকে তাদের বাড়ি থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ আটক করা হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, পরে সাব্বির ‘হাতকড়া নিয়ে’ পালিয়ে যায়।
তবে যশোর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, সাব্বিরের লাশ যখন আনা হয় তখন তার হাতে হাতকড়া ছিল না।
অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের ওই ঘটনায় কোনো মামলা হয়েছে কি না তা জানাতে পারেনি ওসি শেখ মতিয়ার রহমান।
এদিকে যশোর-মাগুরা মহাসড়কের খাজুরা থেকে রোববার মধ্য রাতের পর এক ‘ডাকাতকে’ আটকের খবর জানান গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ইমাউল হক।
আটক তরিকুলের বাড়ি বরিশালে।
ওসি ইমাউল বলেন, একদল ডাকাত রাস্তায় গাছ ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গেলে দুপক্ষের মধ্যে গুলাগুলি হয়।
“পরে আহত অবস্থায় তরিকুলকে আটক করা হয়। সেখান থেকে চাপাতি, রশি, করাত ও ছোরা উদ্ধার করা হয়।”