‘স্বামীর বহুবিবাহের কলহে’ গৃহবধূ দগ্ধ

‘স্বামীর বহুবিবাহের’ কারণে পারিবারিক কলহের জেরে সাতক্ষীরার আশাশুনিতে এক গৃহবধূ অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 June 2017, 08:14 AM
Updated : 10 June 2017, 08:14 AM

শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার পিরোজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর অবস্থায় টুম্পা খাতুনকে (২৫) সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

টুম্পা পিরোজপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়।

সাইফুল ইসলাম দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন দিয়েছেন বলে টুম্পা ও প্রতিবেশীদের দাবি। তবে সাইফুল বলছেন, টুম্পা নিজে গায়ে আগুন দিয়েছেন।   

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন টুম্পা বলেন, এক মাস আগে তার স্বামী আরেকটি বিয়ে করেছেন। এ নিয়ে তার স্ত্রীর সংখ্যা হলো আট। এসব নিয়ে তার সঙ্গে সাইফুলের প্রায়ই ঝগড়া হতো।

“শুক্রবার রাতে এমনই এক ঝগড়ার পর সাইফুল আমার শরীরে দাহ্য পদার্থ ছুড়ে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।”

স্থানীয় খাজরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম শাহনেওয়াজ ডালিম সাংবাদিকদের বলেন, টুম্পা খাতুন এক সময় যাত্রাদলের অভিনেত্রী ছিলেন। এ এলাকায় অভিনয় করতে এলে সাইফুল ইসলামের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং পরে তারা বিয়ে করেন।

“সাইফুল পেশায় ঘের ব্যবসায়ী। পাশাপাশি তিনি মাঝেমধ্যে যাত্রাদলও পরিচালনা করেন। যাত্রাদলের অনেক নায়িকাকে তিনি বিয়েও করেছেন। টুম্পাসহ তার স্ত্রীর সংখ্যা আট।”

মাসখানেক আগেও এলাকায় যাত্রাগান পরিচালনার সুবাদে যাত্রাদলের এক অভিনেত্রীকে বিয়ে করার পর টুম্পা ও সাইফুলের বিরোধ তুঙ্গে ওঠে বলে জানান চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ।

তিনি বলেন, “স্থানীয়রা জানিয়েছেন- স্বামী সাইফুল্লাই টুম্পার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছেন। আবার সাইফুল বলছেন- শেষ বিয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে টুম্পা অভিমান করে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছেন।”

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম বলেন, টুম্পার শরীরের ৭০ শতাংশ ঝলসে গেছে। অবস্থা আশংকাজনক। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে সাইফুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। হাসপাতালে প্রতিবেশী ছাড়া টুম্পার কোনো স্বজনকে পাওয়া যায়নি। বাবার বাড়ির স্বজনরা ঘটনাটি জেনেছেন কিনা তাও জানা যায়নি।

আশাশুনি থানার ওসি সাইদুল ইসলাম শাহিন বলেন, এ ঘটনা তিনি জেনেছেন, কিন্তু এ ব্যাপারে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।