শরীফের স্ত্রী ফাহিমা বেগম শুক্রবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল আবাসিক এলাকার ৫ নম্বর সেক্টরের খাল থেকে শুক্রবার সাবমেশিন গান, রকেট লঞ্চার, হ্যান্ড গেনেডসহ বিপুল সংখ্যক অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের দাবি, গত বুধবার নারায়ণগঞ্জের জালকুড়ি থেকে গ্রেপ্তার শরিফ মিয়ার দেওয়া তথ্যমতে রূপগঞ্জে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালানো হয়।
শরিফ মিয়া রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের বাগলা গ্রামের মৃত মোসলেহ উদ্দিন খানের ছেলে। ২০০৬ সালে বিয়ে করেন ফাহিমা বেগমকে।
ফাহিমা বলেন, শরীফ মাদক সেবন ও মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকলেও অস্ত্র ব্যবসায়ী নয়, সে র্যাবের সোর্স ছিল। ইয়াবা বিক্রি করায় পুলিশ তাকে তিনবার গ্রেপ্তার করেছিল।
২০০৬ সালে বিয়ের পর দুবাই চলে যান শরিফ মিয়া। আড়াই বছর পর দেশে ফিরে আসেন বলে ফাহিমা জানান।
“এরপর এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয় র্যাব-১১ এর এক কর্মকর্তার সঙ্গে। পরে জায়গা বিক্রির ব্যবসায় নামেন। তাতে লোকসান হয় ও ওমান যাওয়ার জন্য টাকা জমা দিয়ে মার খান।
“এরপর থেকে মাদক সেবন ও ব্যবসায় সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন শরিফ। সঙ্গে সঙ্গে র্যাবের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন।”
গত ৩০ মে রাতে উপজেলার বাগলা এলাকায় শরিফ মিয়ার বাড়ির মাটি খুঁড়ে একটি এলএমজি উদ্ধার করা হয়ে বলে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন জানিয়েছেন।
এ নিয়ে শরীফের স্ত্রী ফাহিমা বলেন, “শরিফ মিয়া মাদক মামলায় হাজিরা দিতে সকাল ৭টায় বাসা থেকে বের হয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে যান। দুপুরে দুইজন পুলিশ সাদা পোশাকে আমার বাড়িতে আসে। এক পর্যায়ে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে তল্লাশি করে অস্ত্র উদ্ধার করে।
“রান্নাঘরে অস্ত্র পাওয়ার পর পুলিশ প্রস্তাব দেয়, টাকা দিলে আমাদের মামলায় জড়ানো হবে না। এ প্রস্তাবে আমি রাজি হইনি।”