মঙ্গলবার উপজেলার খড়িঞ্চা বাজারে এই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছে।
প্রত্যাহার করা তিন পুলিশ সদস্য হলেন চৌগাছা থানার এএসআই মাসুদ, এএসআই সাজ্জাদ হোসেন ও কনস্টেবল সেলিম হোসেন।
যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার নাইমুর রহমান জানান, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তিন পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড (প্রত্যাহার) করা হয়েছে।
“ঘটনার তদন্ত করে যদি পুলিশের কারও কোনো প্রকার অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই তার শাস্তি হবে।”
ভুক্তভোগী খড়িঞ্চা বাজারের চা দোকানি আব্দুর রহমান বলেন, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার দুপুরে তিনি দোকান বন্ধ করে তিন কিলোমিটার দূরে পুড়াপাড়া বাজারে যান মালামাল কিনতে। সেখান থেকে দুপুর ১টার দিকে মালামাল নিয়ে ফিরে দেখতে পান তার দোকানের পাশে একটি সাদা মাইক্রোবাস দাঁড়িয়ে আছে।
“চৌগাছা থানার এএসআই সাজ্জাদ এবং এএসআই মাসুদ দোকানের পিছনে কিছু রাখছেন।”
এসময় দুই কর্মকর্তার একজন বলে ওঠেন- ‘এই ফেনসিডিল তুই দোকানের পিছনে রেখেছিস। তুই এই ফেনসিডিলের মালিক’, বলেন রহমান।
এ কথা বলে তাকে আটকের চেষ্টা করেন। তিনি এর প্রতিবাদ করতে থাকলে বাজারের লোকজন এসে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ঘিরে ফেলে। তখন স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল মান্নান গিয়ে ওই তিন পুলিশ সদস্যকে জনরোষ থেকে মুক্ত করেন বলে রহমান জানান।
এরপর তিন পুলিশ সদস্য দ্রুত ওই স্থান থকে চলে যান বলে জানান রহমান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং ওই পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবিতে স্থানীয় জনতা চৌগাছা-পুড়াপাড়া সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে এবং যানচলাচল বন্ধ করে দেয়।
বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে চৌগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মারুফ আহমেদ এবং এসআই আকিকুল ইসলামের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
এরপর সহকারী পুলিশ সুপার নাইমুর রহমান গিয়ে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।