নগরীর পাঠানপাড়া এলাকায় উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে প্রতিনিধি সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু ও সাবেক সভাপতি নাদিম মোস্তফার সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
সংঘর্ষ চলাকালে মঞ্চ লক্ষ্য করে জুতা-স্যান্ডেল ও পানির বোতল ছুঁড়ে মারা হয়। টেনে ছিঁড়ে ফেলা হয় মঞ্চের ব্যানার। ভাঙচুর করা হয় চেয়ার-টেবিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রতিনিধি সম্মেলনে তপুকে সভাপতি ঘোষণা করায় নাদিম মোস্তফার সমর্থকরা সমাবেশ স্থলে গিয়ে হট্টোগোল শুরু করলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে আবার সমাবেশ শুরু হয়।
এরপর মঞ্চে ডাকা ও নাম ঘোষণা নিয়ে দ্বিতীয় দফায় হইচই, হাতাহাতি ও ভাংচুর করেন একদল নেতাকর্মী। তাদের মঞ্চে উঠে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলতে দেখা যায়।
এর কিছুক্ষণ পর জেলা বিএনপির সহসভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ মহাসিনের নেতৃত্বে আসা মিছিলের লোকজন সমাবেশস্থলে প্রবেশ করে ভাংচুর শুরু করেন। এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় উঠে তাদের শান্ত করেন।
তবে এ ঘটনার সময় কমিউনিটি সেন্টার থেকে নেতা-কর্মীরা বের হয়ে যান। পরে রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার মাইক নিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন এবং তাদের ভিতরে প্রবেশ করতে বলেন।
পরে গয়েম্বর চন্দ্র রায় ও মিজানুর রহমান মিনু বক্তব্য রেখে সমাবেশ শেষ করে দেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নাদিম মোস্তফার অনুসারীরা প্রতিনিধি সম্মেলন পণ্ড করতে ‘পরিকল্পিতভাবে’ এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে নাদিম মোস্তফার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
জেলা সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন বলেন, দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নির্দেশে গত ২৭ এপ্রিল জেলা বিএনটির পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন মহাসচিব মীর্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর। নেত্রীর সিদ্ধান্ত যারা মেনে নেননি তারা পরিকল্পিতভাবে সমাবেশ পণ্ড করতে এ হামলা চালিয়েছে।
পুলিশ সমাবেশস্থলের বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকলেও পুলিশের কোনো সহযোগিতা চাওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
এর আগে সোমবার বিকালে একই স্থানে রাজশাহী মহানগর বিএনপির কর্মী সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে দুই দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের সমর্থকরা নিজ দলের নেতাকর্মীদের বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে জখম করতে দেখা যায়।