শনিবার ভোরে সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় শহর হাফার-আল বাতিন থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে উম্মে জম জম এলাকায় এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে তিনজন নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান দুজন।
নিহতরা হলেন আজিজুর রহমান ওরফে আব্দুল আজিজ, তার ছেলে আরাফাত বিন আজিজ (৮), মেয়ে লুবাবা বিনতে আজিজ (৪), শাশুড়ি আকলিমা বেগম (৫৫) ও গাড়ি চালক মাসুদ।
আহত হন আজিজের স্ত্রী মোরশেদা পারভীন মুন্নি (৩৫)। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আজিজের বাড়ি ফেনী শহরের বারাহিপুর এলাকায়। পরিবারের চারজনকে একসঙ্গে হারানো স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে বাড়ির পরিবেশ।
আজিজুর রহমানের বড় ভাই সাইদুল হক জানান, বারাহিপুরের ‘ক্ষণিকালয়’ বাড়ির নয় ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট আজিজ। ১৯৯২ সালে তিনি সৌদি আরব যান। দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে তিনি সেদেশে ব্যবসা করছেন।
“তিন মাস আগে দেশে আসেন স্ত্রী, দুই সন্তান ও শাশুড়িকে ওমরাহ করতে নেওয়ার জন্য। এপ্রিলের ১৮ তারিখ তারা সৌদি আরব চলে যান।”
আজিজের আরেক বড় ভাই শফিকুর রহমান জানান, পরিবারের সবার ছোট ভাইকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে সবাই। বার বার মুর্ছা যাচ্ছেন নিহতের বোন ও স্বজনরা। সবার ছোট হয়ে সবার আগে এভাবে চলে যাবে ভাই কখনও তারা ভাবতে পারেনি।
আজিজের দীর্ঘদিনের বন্ধু মোহাম্মদ আলী বলেন, মৃত্যুর খবর পেয়ে নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজিজ এলাকায় দানশীল ব্যক্তি ছিল। নিয়মিত মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহায়তা করত।
খবর পেয়ে শনিবার রাতেই ওই পরিবারকে সান্তনা দিতে ছুটে যান স্থানীয় কাউন্সিলর বাহার উদ্দিন বাহার।
তিনি বলেন, “নিহত সকলের মরদেহ দেশে আনতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সরকারের সহযোগিতা আশা করছি। ফেনী পৌরসভার পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা লাগলে করা হবে।”