বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তারিক হাসানের আদালতে মামলাটি করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান প্রধান।
চাকরি দেওয়ার দাবিতে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা কক্ষে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশের হস্তক্ষেপে তারা অবরোধ তুলে নেন।
শুক্রবার উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবীর উপাচার্য পদের মেয়াদ শেষ হবে।
বাদীর আইনজীবী মুনীর চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আদালত ৫০০ ও ৫০১ ধারায় বাদীর অভিযোগ গ্রহণ করে তা শুনানির ১১ মে দিন রেখেছে।
মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে একটি ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলায় কাউকে আসামি না করে অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে জড়িত থাকার কথা বলা হয়।
“কিন্তু সেই মামলায় জড়িত দেখিয়ে উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানসহ তিন শিক্ষক এবং ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদোন্নতি আটকে দেন।”
তাবিউর রহমান বলেন, “আমরা আসামি নই। তবু উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবী উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাদের পদোন্নতি আটকে দিয়েছেন। এতে আমাদের মান ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে।”
উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবী বলেন, “মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণেই সিন্ডিকেটের সভায় তাদের পদোন্নতি স্থগিত করা হয়। এখানে আমার ব্যক্তিগত কোনো উদ্দেশ্য নেই।”