নোয়াখালীতে ম্যাটস্ শিক্ষার্থী ও পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ২০

নোয়াখালী শহরে চিকিৎসা সহকারী প্রশিক্ষণ বিদ্যালয়ের (ম্যাটস্) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 April 2017, 06:04 PM
Updated : 27 April 2017, 06:50 PM

বৃহস্পতিবার এ সংঘর্ষের পর শুক্রবার সকাল ৮টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

আহতদের মধ্যে রিফাত, জোবায়ের, জসিম, শিমুল, জুয়েনা, অনিতা, মিম ও মুন্নিকে নোয়াখালী জেনালের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদেরকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে ১১ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এসএসপি) জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ম্যাটস্ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে বললে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

এসপি জসিম অভিযোগ করেন, বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানসহ সড়কে কয়েকটি অটোরিকশা ও পৌর পার্কের বাতি ভাংচুর করে।

“এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। শিক্ষার্থীদের ছোড়া ইটের আঘাতে অতিরিক্তি পুলিশ সুপারের দেহরক্ষী আবেদ, গাড়ির চালক আবু সালেহ ও এএসআই সাইফুল আহত হন।”

তাদেরকে পুলিশ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা মেডিকেল স্টুডেন্টস্ অ্যাসোসিয়েশনের জেলা শাখার সভাপতি আর এইচ রিফাত বলেন, জেলা প্রসাশকের কার্যালয়ের সামনে তাদের শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ এসে বাধা দেয়। এরপর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে আসার পথে বিনা উস্কানিতে পুলিশ তাদেরকে বেধড়ক লাঠিপেটা করে। পরে ছাত্রাবাস থেকে ১১ জন ছাত্রকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

পুলিশের হামলায় ৩০ জন ছাত্রছাত্রী আহত হন এবং ঘটনার পর থেকে ৩০ জন ছাত্রছাত্রীর খোঁজ মিলছে না বলে দাবি করেন তিনি।

পুলিশের ভয়ে আহত ছাত্রছাত্রীদের অনেকেকে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় বলেও জানান রিফাত।

সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ম্যাটসের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উচ্চ শিক্ষার সুযোগ প্রদান, সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে কাজ করার সুযোগ দেওয়াসহ চার দফা দাবিতে ম্যাটস্ শিক্ষার্থীরা গত কয়েকদিন থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।