রোববার সিলেটের একটি হোটেলে ‘টেকসই জ্বালানি প্রসারে গ্রিন ব্যাংকিংয়ের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ইতিমধ্যে ভারত থেকে ৬০ মেগাওয়াট বিদুৎ আনা হয়েছে। সামনে আরও দুই হাজার মেগাওয়াট আনা হবে এবং তা দুই বছরের মধ্যেই হবে। এ বিদ্যুতে দাম নির্ধারণ হবে দুদেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে।”
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, যার মধ্যে চারটি চুক্তিপত্র অনুষ্ঠানে বিনিময় হয়।
অনুষ্ঠানে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী বাংলাদেশকে আরও ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘোষণা দেন।
দেশের সব মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে আসতে সরকার কাজ করছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, “২০১৮ সালে একশ ভাগ বিদ্যুতায়ন করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।”
দেশে পরিবেশবান্ধব অর্থায়ন সহায়ক অবকাঠামো তৈরি শুধু টেকসই জ্বালানি উন্নয়নের জন্য নয়, বরং সামগ্রিক পরিবেশ উন্নয়ন ও টেকসই অর্থনীতির দিকে দেশের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি মনে করেন।
সৌরবিদ্যুতের চাহিদা দিন দিন কমছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এজন্য সৌরবিদ্যুতের চাহিদা কমছে।
“সঞ্চালন লাইনে বিদ্যুৎ পাওয়ায় মানুষ এখন সৌরবিদ্যুৎ নিতে চাইছে না। তবে যেসব এলাকায় গ্রিড লাইন যাবে না সেসব এলাকায় সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করে আলোকিত করা হবে।”
সরকারের সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (স্রেডা) চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার, বাংলাদেশে জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মাইকেল শুলথেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।