সোমবার সকালে এসব দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহতরা হলেন - কামারখন্দ উপজেলার চৌবাড়ি গ্রামের হবিবর রহমানের দুই ছেলে বেলাল হোসেন, আব্দুস সোবহান, একই গ্রামের মাহাম উদ্দিনের ছেলে আল-আমিন (৩৫), নাটোরের লালন সিংড়া এলাকার প্রভাষক শংকর কুমার পালের স্ত্রী চায়না রানী (৩০) ও তার মেয়ে তুলি রানী (৬)।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার এসআই জয়দেব কুমার জানান, সোমবার সকাল ৭টার দিকে সিরাজগঞ্জ-কড্ডা আঞ্চলিক সড়কের বনবাড়িয়ায় বাসচাপায় অটোরিকশা-যাত্রী বেলাল, সোবহান ও আল-আমিন মারা যান।
“সিরাজগঞ্জ থেকে এনায়েতপুরগামী একটি বাস তাদের অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়।”
পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত অটোরিকশা জব্দ করলেও বাস বা এর চালককে ধরতে পারেনি।
উল্লাপাড়া থানার ওসি দেওয়ান কউসিক আহম্মেদ জানান, সকাল সোয়া ৯টার দিকে নাটোরের লালন সিংড়া এলাকার কলেজ শিক্ষক শংকর কুমার পাল স্ত্রী-কন্যাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে শাহজাদপুর যাচ্ছিলেন।
“বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের উল্লাপাড়া উপজেলার নেওরগাছা এলাকায় পেছন থেকে একটি বাস মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান মা চায়না রানী আর মেয়ে তুলি রানী।”
এছাড়া শুরুতর আহত শংকরকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি কউসিক।
তিনি বলেন, শংকর শাহজাদপুর উপজেলার সাতবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক। তার স্ত্রী চায়না শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের খারুয়া জংলা কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিটি পদে চাকরি করতেন।