কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি সোহেল আহাম্মদ জানান, শনিবার জালালাবাদ সেনানিবাসের মেজর আবদুল আজিজ কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। ওইদিন বিকালে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
“রোববার আদালতে হাজির করলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।”
এরা হলেন নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান খান জুয়েল, সংগঠনটির কর্মী হাবিবুর রহমান পাবেল, সাইদুল ইসলাম ও মাকসুদ আহমেদ।
মামলার বরাত দিয়ে ওসি সোহেল বলেন, গত ৬ এপ্রিল বিকালে নগরীর মীরের ময়দান কেওয়াপাড়ার বাড়ি থেকে প্রাইভেটকার নিয়ে বের হন মেজর আবদুল আজিজ। এ সময় গাড়িটিকে মোটরসাইকেলে করে ওভারটেক করার চেষ্টা করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী।
“রাস্তা সরু হওয়ায় অতিক্রম করতে না পারায় তারা আজিজের গাড়ি ভাঙচুর করেন। বাধা দেওয়ায় তারা আজিজকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।”
এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে কোতোয়ালি থানায় সাত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন মেজর আজিজ। গ্রেপ্তার চারজনই ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বলে জানান তিনি।
সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি আবদুল বাসিত রুম্মান বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। আরেকটি ঘটনায় ওইদিন শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করে ছাত্রলীগ। সে সময় এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
ঘটনার সঙ্গে গ্রেপ্তার চার নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততা না থাকলে তাদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।