জয়দেবপুর থানার এসআই মো. সাদেকুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবস্থায় মো. সোহেল রানার (২৫) মৃত্যু হয়।
দক্ষিণ সালনা এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে সোহেল গাজীপুরের মডেল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
বাড়ির পাশের বাজারে একটি মুদি দোকান চালাতেন সোহেল। দোকানের পাশের একটি রাস্তা নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে বিরোধের জেরে সোহেলকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবারের ধারণা।
সোহেলের মা আম্বিয়া খাতুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দোকান থেকে বাসায় ফেরার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে দুর্বৃত্তরা সোহেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।”
এ সময় সোহেলের চিৎকারে লোকজন ছুটে গিয়ে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ঢাকায় নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় হয় বলে জানান আম্বিয়া।
সোহেলের মামা আব্দুল মান্নান বলেন, “সোহেলের দোকানের পাশের একটি রাস্তা নিয়ে প্রতিবেশী শহীদুল ইসলাম কাজী ও তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সোহেলের বিরোধ চলছিল।
এ নিয়ে বিভিন্ন সময় শহীদুল ও তার পরিবারের লোকজন সোহেলকে হত্যার হুমকিও দিয়ে আসছিল। ”
এ বিরোধের জেরে তার ভাগ্নেকে হত্যা করা হতে পারে বলে মান্নানের ধারণা ।
ঘটনার পর থেকে শহীদুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন বলে এসআই মো. সাদেকুর জানান।