জঙ্গি নেতা মুসার মা পুলিশ হেফাজতে

ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য জঙ্গি নেতা মাইনুল ইসলাম ওরফে মুসার মাকে হেফাজতে নিয়েছে রাজশাহী পুলিশ।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 March 2017, 04:54 PM
Updated : 29 March 2017, 04:54 PM

মুসার মা সুফিয়া সঙ্গে তার ভাই খায়রুল ইসলাম ও বোন কামরুন নাহারকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সেলিম হোসেন বুধবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

তামিম চৌধুরীসহ শীর্ষনেতারা মারা যাওয়ার পর বাগমারার মুসা ‘নব্য জেএমবি’র হাল ধরেন বলে গোয়েন্দারা মনে করছেন।

সিলেটের আতিয়া মহলে অভিযানে যে চার জঙ্গি মারা পড়েছেন, তার মধ্যে মুসাও রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিস্ফোরণে দেহ বিকৃত হয়ে পড়ায় শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

ওসি সেলিম বলেন, “সিলেটের জঙ্গি আস্তানায় নিহত চারজনের মধ্যে একজনকে রাজশাহীর বাগমারার বজ্রকোলা গ্রামের মাইনুল ইসলাম ওরফে মুসা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

“এরই প্রেক্ষিতে মুসার পরিবারের তিন সদস্যকে সন্ধ্যায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে।”

মুসার স্ত্রী তৃষামনি ওরফে উম্মে আয়েশা মেয়েকে নিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে ঢাকার পূর্ব আশকোনার বাড়ি সূর্যভিলা থেকে পুলিশের অভিযানের সময় ধরা দেন। ওই বাড়িটি মুসাই ভাড়া করেছিলেন বলে গোয়েন্দারা তথ্য পেয়েছেন।

গোয়েন্দাদের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী বাগমারার রঘুপাড়ায় ১৯৮৮ সালের ২০ ডিসেম্বর আবুল কালাম ও মা সুফিয়ার ঘরে জন্ম নেওয়া মুসা রাজশাহীতেই এক সময় জেএমবির কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পর বাগমারায় উত্থান ঘটেছিল জঙ্গিনেতা সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলাভাইয়ের। পরে তাকে বিচারক হত‌্যামামলায় ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।

মুসা ঢাকা কলেজ থেকে ২০১১ সালে ইংরেজিতে স্নাতক ও ২০১২ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন বলে গোয়েন্দারা জানান।

তারা বলছেন, উত্তরার একটি স্কুলে ইংরেজির শিক্ষক হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন মুসা। ২০১৪ সালে দূর সম্পর্কের এক খালাত বোনকে বিয়ে করেন তিনি। গত বছরের শুরুতে তাদের একটি সন্তান হয়।

এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার কথা মুসা আগে থেকে জানতেন। সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়ে জঙ্গি তৎপরতায় জড়িয়ে পড়া জাহিদের সঙ্গে মুসার সখ্য ছিল।

কয়েক মাস আগে মুসাকে ধরতে পুলিশ রাজশাহীতে গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালালেও তাকে পায়নি। এরপর ঢাকার আশকোনার একটি বাড়িতে পাওয়া যায় তার স্ত্রীর সন্ধান। ওই বাড়িতে জাহিদের স্ত্রী ও মেয়ের সন্ধানও মেলে।