নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ভারতে পাচারের অভিযোগে মাগুরার শালিখা উপজেলার এক মাদ্রাসাশিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Published : 13 Mar 2017, 02:23 PM
শালিখা থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, পাচার হওয়া ওই ছাত্রীকে ভারতের হাওড়া পুলিশ উদ্ধার করে সেখানকার আশ্রয়কেন্দ্রে রেখেছে।
গ্রেপ্তার আবদুল আলিম শালিখা উপজেলার আড়পাড়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক।
পাচার হওয়া ছাত্রীর বাবা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার মেয়ে আড়পাড়া আইডিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
“গত ৪ মার্চ সকালে আমার মেয়ে প্রাইভেট পড়তে যায় মাদ্রাসাশিক্ষক আবদুল আলিমের বাড়ি। দুপুরের পরও সে বাড়ি না আসায় আলিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। আলিম জানান, আমার মেয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।”
এদিকে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর ভারতের হাওড়া জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট অনামিকা দলপতি মোবাইলে ফোন করে ওই ছাত্রীকে হাউড়া স্টেশনে পাওয়ার খবর জানান।
ছাত্রীর বাবা বলেন, “ভারতের ম্যাজিস্ট্রেট অনামিকা আমাকে আমার মেয়ের সঙ্গে কথা বলিয়ে দিয়েছেন।”
মেয়ের বরাতে বাবা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘটনার দিন প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পর মাদ্রাসাশিক্ষক আলিম তাকে মাগুরা শহরে নিয়ে যান। এ সময় তাদের সঙ্গে আরও দুটি ছেলে ছিল। তারা মাগুরা শহরের একটি ওষুধের দোকানে নিয়ে পানির সঙ্গে কিছু খাওয়ানোর পর আমার মেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে।
“পরে জ্ঞান ফিরলে সে নিজেকে হাওড়া স্টেশনে দেখতে পায়। এ সময় পাচারের বিষয়টি বুঝতে পেরে চিৎকার দিলে সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।”
শনিবার শালিখা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা।
ওসি রবিউল বলেন, হাওড়ার ম্যাজিস্ট্রেট অনামিকা দলপতির সঙ্গে কথা বলে ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের বিষয়টি জানা গেছে।
“তাদের প্রাথমিক বক্তব্য ও ছাত্রীর বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মাদ্রাসাশিক্ষক আলিমকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তারের পর রোববার আদালতে তোলা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।”