হলের প্রভোস্ট শাহেদুল হোসাইন জানান, বুধবার রাত ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত হলের ভেতরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম সবুজের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মোট ১৭ জন আহত হন। তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
“সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় হলের বাইরে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে। পরে তা দুটি গ্রুপের মধ্যে ছড়ালে হলের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ হয়।”
পরে জালালাবাদ থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে বলে তিনি জানান।
তবে কী নিয়ে সংঘর্ষ বাধে সে বিষয়ে প্রভোস্ট কিছু বলতে পারেননি।
ছাত্রলীগনেতা সাজেদুল ইসলাম সবুজ বলছেন, “জুনিয়রদের মধ্যে ঝামেলা হওয়ায় আমরা তা সমাধানের জন্য রাতে বৈঠকে বসেছিলাম।
“এরই মধ্যে হঠাৎ ইমরান খানের অনুসারী জুয়েম এসে সব বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ করে দেন। তারা আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালান। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
ইমরান খানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
এ বিষয়ে বৈঠক হবে জানিয়ে প্রভোস্ট শাহেদুল বলেন, তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন - ছাত্রলীগকর্মী সুমন তালুকদার, নাহিদ, উজ্জ্বল, মনিরুজ্জামান, পিয়াস, মুনকির, জয়, ইয়ামিন, আপলু, শিহাব, মৃন্ময় দাস, শামসুল, জাহিদ, জুবায়ের, রূপক, মনোয়ার ও সীমান্ত।