পরিবহন ধর্মঘটের কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হতে না পারায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আট বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া ৩০টি বিভাগে ক্লাস হয়নি।
Published : 01 Mar 2017, 04:27 PM
বুধবার সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬টি বিভাগ ও দুটি ইনস্টিটিউটে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য জানা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন নীলাঞ্জন কুমার সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শ্রমিক ধর্মঘটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকা থেকে অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আসতে পারেননি। এজন্য আজকের দিনের পূর্বর্নিধারিত পরীক্ষাসমূহ স্থগিত করা হয়েছে।”
জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সোয়াইব আহমেদ বলেন, “রুটিন অনুযায়ী আজ সকাল সোয়া ১০টায় আমাদের ক্লাস হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ধর্মঘটের কারণে আমাদের শিক্ষক ঢাকা থেকে ক্যাম্পাসে আসতে না পারায় ক্লাস সাসপেন্ড করা হয়েছে।”
বিভাগগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৬ সালের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের প্রথম পর্বের ২য় সেমিস্টার ও তৃতীয় পর্বের ১ম সেমিস্টার, মার্কেটিং বিভাগের প্রথম পর্বের ২য় সেমিস্টার, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের প্রথম পর্বের ২য় সেমিস্টার, লোক প্রশাসন বিভাগের ২য় পর্ব, প্রাণ রসায়ণ ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ২য় পর্ব এবং রসায়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।
এছাড়া বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের মৌখিক পরীক্ষা এবং অর্থনীতি বিভাগের পিএইচডি কোয়ালিফাইড পরীক্ষাও ধর্মঘটের কারণে নেওয়া যায়নি বলে দুই বিভাগের কর্মকর্তারা জানান।
তবে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে ধর্মঘটের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন অফিস বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে।
পরিবহন অফিসের অতিরিক্ত ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. শরিফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পরিবহন ধর্মঘটের কারণে নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত হলেই বাস চলাচল শুরু হবে।”
দুর্ঘটনায় মিশুক মুনির ও তারেক মাসুদসহ পাঁচজন নিহত হওয়ার মামলায় বাস চালকের যাবজ্জীবন হওয়ার পর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘট শুরু করেন। পরে তারা সারাদেশে শুরু হয়। এতে মঙ্গলবার সারাদেশে পরিবহন ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে। সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা। বুধবার ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা আসে।