লিটন হত্যার পরিকল্পনা কাদেরের, লক্ষ্য নির্বাচন: পুলিশ

সুন্দরগঞ্জে আবার এমপি হওয়ার জন্য এ আসনের সাবেক সাংসদ আব্দুল কাদের খান মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে পুলিশের ভাষ্য।  

তাজুল ইসলাম রেজা গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Feb 2017, 12:56 PM
Updated : 23 Feb 2017, 07:39 AM

এছাড়া কাদের ওই আসনে পুনর্নির্বাচনে মনোনয়ন না পেয়ে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীকে হত্যার পরিকল্পনাও করেছিলেন বলে পুলিশ দাবি করছে।

একটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় ছিনতাইকারীদের ফেলে যাওয়া গুলিসহ একটি ম্যাগজিনের সূত্র ধরে ৫২ দিন পর এমপি লিটন হত্যার ‘রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে’ বলে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানিয়েছে।।

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার অফিস চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব তথ্য জানান রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক।

লিটন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তল, পিস্তলের ম্যাগজিন, শটগানের কভার ও ১০টি গুলির খোসা, মোবাইল সিমসহ একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার উদ্ধার করার কথা সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে। 

লিটন হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া চারজনের মধে্যে কাদের খানের গাড়িচালক আবদুল হান্নান, বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক শাহিন মিয়া ও মেহেদী গ্রেপ্তার হওয়ার পর হাকিম আদালতে ‘১৬৪ ধারায় জবানবন্দি’ দেন। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই কাদের খানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার কাদেরকে ১০ দিনের হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।

জাতীয় পার্টির সাবেক এই এমপির সুন্দরগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে ও একটি পুকুরে অস্ত্রের সন্ধানে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।

ডিআইজি ফারুক বলেন, “লিটনকে সরিয়ে দিতে পারলেই পুনরায় ওই আসনে কর্নেল কাদের এমপি নির্বাচিত হবেন। এই উচ্চাভিলাষ, লোভ ও ক্ষমতার মোহেই সাবেক এমপি কাদের খান গত একবছর থেকেই এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া কিলারদের বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে গত ছয় মাস থেকে কাদের নিজেই গাইবান্ধা ও বগুড়ার একাধিক স্থানে তাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেন।

এর আগে একবার চেষ্টা করে সে মিশন ব্যর্থ হয় বলে জানান ডিআইজি।

“উপ-নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে মনোনয়ন দেওয়ায় তাকেও হত্যার পরিকল্পনা করে আসছিলেন কাদের।”

লিটন হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পারিবারিক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং  জামাত-শিবিরসহ নানা দিক নিয়ে তদন্ত ও গ্রেপ্তার অভিযান চালানোর কথা জানান ডিআইজি ফারুক।

ফারুক জানান, প্রায় এক বছর ধরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে কাদের তার লোক দিয়ে ছিনতাই, মন্দিরের মূর্তি ভাংচুরসহ নানা অপকর্ম ঘটান এবং এমপি লিটনকে হত্যার সুযোগ খুঁজতে থাকেন।

কাদের খানের গাড়ি চালক আবদুল হান্নান হত্যাকাণ্ডে কিলারদের পালিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করেন। হত্যাকাণ্ডে তার ভাগ্নে কাম ও বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক শাহীন মিয়া ও রাসেদুল ইসলাম ওরফে মেহেদী হাসানসহ চারজন অংশ নেয় বলে ডিআইজি জানান।

“এর মধ্যে রানা নামে একজন পলাতক রয়েছে। তাকেও গ্রেপ্তারে তৎপর রয়েছে পুলিশ।”

হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তল, পিস্তলের ম্যাগজিন, শটগানের কভার ও ১০টি গুলির খোসা, হেলমেট, ক্যাপ, মোবাইল ফোনের সিম এবং তিনটি মোটরসাইকেলের মধ্যে একটি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

এছাড়া হত্যাকাণ্ডে আর কোনো পরিকল্পনাকারী বা আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে, বলেন ডিআইজি।

কাদের খান এক বছর ধরে সাংসদ লিটনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। হত‌্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া চারজনকে একটি গুদামে ছয় মাস ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।       

সংবাদ সম্মেলনে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহম্মেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া লিটনের স্ত্রী সৈয়দ খুরশিদ জাহান স্মৃতি, বোন তাহমিদা বুলবুল কাকলীসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. আতিয়ার রহমান সাংবাদিকদের বলেন, গত ১ ডিসেম্বর গভীর রাতে গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ সড়কের ধোপাডাঙ্গার নয়া বাজার এলাকায় একটি মোবাইল ছিনতাই ঘটনার উল্লেখ করে ফারুক বলেন, ওই মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের সময় ছিনতাইকারীরা ঘটনাস্থলে ছয়টি গুলিসহ একটি ম্যাগজিন ফেলে যায়। এর সূত্রে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ কাদের খানকে তার লাইসেন্স করা পিস্তল ও গুলি থানায় জমা দিতে বলে।

“কাদের খান মোট চল্লিশ রাউন্ড গুলির মধ্যে মাত্র ১০ রাউন্ড থানায় জমা দেন। বাকি গুলির কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।

“এছাড়া লিটন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গুলির সাথে তার পিস্তলের গুলির মিল পাওয়া য়ায়। ফলে ওই ছিতনাইকারীদের খোঁজা শুরু হয়। বের হতে থাকে লিটন হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য।”

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার ভোর রাতে জেলা শহরের ব্রিজ রোড় এলাকা থেকে ওই ছিনতাইকাজে অংশ নেওয়া কর্নেল কাদেরের দূর সস্পর্কের ভাগ্নে ও তার বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক শাহীন মিয়া (২৩), গৃহকর্মী রাসেদুল ইসলাম ওরফে মেহেদী হাসান (২২) এবং গাড়ি চালক আব্দুল হান্নানকে (২৭) আটক করা হয়।

“পুলিশের কাছে তারা এই হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সাবেক এমপি আব্দুল কাদের খানকে মঙ্গলবার বিকালে বগুড়া শহরের তার গরীব শাহ ক্লিনিক সংলগ্ন বাসা থেকে আটক করা হয়।”

রাতেই বগুড়া থেকে কাদেরকে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।

গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে পুলিশ বগুড়ায় কাদেরের বাড়ি ঘিরে রাখে। প্রথম দিকে এ নিয়ে কিছু না বললেও পরে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় ‘জঙ্গি হামলার আশঙ্কায়’ তাকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।   

ছয়দিন ঘিরে রাখার পর মঙ্গলবার বিকালে তার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হলেও পুলিশ কিছু জব্দ করতে পারেনি। এরপর রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় আবার তল্লাশি করা হয়।

ওই সময় পুলিশ কাদেরের স্ত্রী নাসিমা বেগমের মোবাইল ফোন, ক্লিনিকের স্টাফ নূরী, রোবেজা, শেফালীর মোবাইল ফোন, দুটি ল্যাপটপ এবং সিসি ক্যামেরার ডিভিআরসহ হার্ডডিক্স নিয়ে যায়। 

এর আগে একবার লিটনকে হত্যার চেষ্টার কথা উল্লেখ করে ওসি বলেন, “গত অক্টোবর মাসে ঢাকা থেকে গাইবান্ধা আসার পথে বগুড়ায় এমপি লিটনকে হত্যার করার পরিকল্পনা করা হয়। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী রাস্তায় প্রথমে তার গাড়িতে পেছন থেকে ধাক্কা দেওয়া হবে। এতে গাড়ি থামিয়ে লিটন বের হয়ে আসা মাত্রই তাকে গুলি করে হত্যা করবে কিলাররা। কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত করতে পারেনি।”

কাদেরের দূর সস্পর্কের ভাগ্নে ও তার বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক শাহীন মিয়া সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উত্তর সমস কবিরাজটারী গ্রামের ওসমান গনি ভুট্টুর ছেলে। গৃহকর্মী রাসেদুল ইসলাম ওরফে মেহেদী হাসান একই গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে। গাড়ি চালক আব্দুল হান্নান বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলার কামারপাড়ার আব্দুর রহমান প্রামানিকের ছেলে।

আব্দুল হান্নান আট বছর ধরে কাদেরের গাড়ি চালাচ্ছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।  

ওসি আতিয়ার বলেন, কাদের এ পর্যন্ত কিলারদেরকে তিন লাখ টাকা দিয়েছেন এবং এমপি হলে আরও অনেক কিছু করে দেওয়ার প্রলোভন দেখান বলে তারা পুলিশকে জানিয়েছেন।

“এমপি লিটনকে মেহেদি নিজেই পরপর পাঁচটি গুলি ছুড়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।”

‘লিটনের হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেয় কিলাররা’

মেহেদী হাসান, শাহীন ও রানা তাদের জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিয়েছেন বলে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. আতিয়ার রহমান জানান।

তারা পুলিশকে বলেছেন,  চারজনের মধ্যে তিনজন লিটনের বাড়িতে ঢোকেন। এরা হলেন- মেহেদী হাসান, শাহীন ও রানা। কাদের খানের গাড়ি চালক হান্নান ছিলেন বাইরে।

তাদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, “প্রথমে তিন খুনি লিটনের সাথে জরুরি কথা আছে বলে তার  বৈঠকখানায় ঢোকে। সেখানে এক রাউন্ড গুলি ছোড়ে মেহেদী। কিন্তু সে গুলিটি হাতে লাগে।

“এই খুনিরা পেশাদার কিলার ছিল না বলে প্রথম গুলিটি ব্যর্থ হলে মেহেদী ঘাবড়ে যায় এবং পরে পর পর এলোপাতাড়ি চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে মৃত‌্যু নিশ্চিত করে।

“হত্যা শেষে তাদের ব্যবহৃত ডায়িং রানার কোম্পানির কালো রংয়ের ১০০ সিসি, ইয়ামাহা ১২৫ সিসি ও ডিসকভার ১৩৫ সিসি এই তিনিটি মোটরসাইকেল নিয়ে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়।”

ওসি বলেন, ডায়িং রানার কোম্পানির কালো রংয়ের ১০০ সিসি মোটরসাইকেলটি কাদের খানের নামে রেজিস্ট্রেশন করা এবং রেজিস্ট্রেশন ফি জমা করা হয়েছে এম ডি আলী নামে, যা পুলিশ জব্দ করেছে।

এরপর রাস্তায় অপেক্ষমান কাদের খানের গাড়িতে উঠে কিলাররা বগুড়ায় তার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে পরে খুনিরা বাসে ঢাকায় গিয়ে আত্মগোপন করে বলে জানান ওসি।

কাদেরের বাড়ির পুকুরে তল্লাশি

আবদুল কাদের খানের গ্রামের বাড়িতে অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস অভিযান চালিয়েছে।

বুধবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে জেলা পুলিশের একটি দল ও ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপরহাটি গ্রামে আবদুল কাদের খানের বাড়িতে অভিযান শুরু করে।

সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আতিয়ার রহমান বলেন, কাদের খানের বাড়িতে অস্ত্র ও গুলি থাকার সন্দেহ করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস তল্লাশি অভিযান চালায়। ওই সময় পুরো বাড়ি ঘিরে রেখে রাখে তারা।

“অস্ত্রের সন্ধানে  ফায়ার সার্ভিসেরকর্মীরা কাদেরের একটি পুকুরের পানি সেচেন। কিন্তু কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি।”

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য লিটনকে গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর শাহাবাজ গ্রামে তার বাড়িতে গুলি করে হত‌্যা করা হয়।

এ হত্যাকাণ্ডে সুন্দরগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে জামায়াত-শিবির, বিএনপির  নেতাকর্মীসহ দেড়শতাধিক আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আটকদের মধ্যে থেকে সুন্দরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবীব মাসুদ, জামায়াতের ফরিদ উদ্দিন, শিবিরের আশরাফুল ইসলাম, জহিরুল ইসলামসহ ২৩ জনকে ওই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ও হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।

কাদের খানকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।

তিনি খুন হওয়ায় শূন্য আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ২২ মার্চ। এ নির্বাচনে কাদের খান জাতীয় পার্টির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত জমা দেননি। উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হচ্ছেন দলের চেয়ারম‌্যান এরশাদের আইন উপদেষ্টা শামীম হায়দার পাটোয়ারী। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা আহম্মেদ।

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ডা. কাদের খানের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপড়হাটি খানপাড়া গ্রামে। ২০০৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে তিনি সুন্দরগঞ্জের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।