গাইবান্ধার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল হাসান বুধবার এ আদেশ দেন।
আদালত পুলিশের এসআই শাহ আলম জানান, বেলা ১২টার দিকে পুলিশ আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল কাদের খানকে মঙ্গলবার তার বগুড়ার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার গাইবান্ধায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘কাদের খানের পরিকল্পনাতেই’ এমপি লিটনকে হত্যা করা হয়।
“কাদের খান এক বছর ধরে সাংসদ লিটনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া চারজনকে একটি গুদামে ছয় মাস ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।”
গোলাম ফারুক জানান, ‘হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া’ চারজনের মধ্যে কাদের খানের গাড়িচালক আবদুল হান্নান, বাসার তত্ত্বাবধায়ক শাহিন মিয়া ও মেহেদী গ্রেপ্তার হওয়ার পর হাকিম আদালতে ‘১৬৪ ধারায় জবানবন্দি’ দেন। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই কাদের খানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য লিটনকে গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর শাহাবাজ গ্রামে তার বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয়।
তিনি খুন হওয়ায় শূন্য আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ২২ মার্চ। এ নির্বাচনে কাদের খান জাতীয় পার্টির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত জমা দেননি।
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ডা. কাদের খানের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপড়হাটি খানপাড়া গ্রামে। ২০০৮ সালে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে তিনি সুন্দরগঞ্জের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।