কাদের খান জাতীয় পার্টির কেউ নন: এরশাদ

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আব্দুল কাদের খান দলের কেউ নন।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Feb 2017, 12:12 PM
Updated : 22 Feb 2017, 12:42 PM

বুধবার বিকালে রংপুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এরশাদ বলেন, “আব্দুল কাদের খান এক সময় জাতীয় পার্টির এমপি ছিলেন। তিন বছর আগে দলের ভাইস চেয়ারম্যানও ছিলেন। কিন্তু তিন বছর ধরে তার সঙ্গে আমার এবং দলের কোনো সম্পর্ক নেই।”

লিটন হত্যা মামলায় মঙ্গলবার কাদের খানকে বগুড়া শহরের রহমান নগরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের আগে ছয় দিন তাকে ‘নজরবন্দি’ রাখা হয়েছিল।

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ডা. কাদের খানের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপড়হাটি খানপাড়া গ্রামে। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে তিনি সুন্দরগঞ্জের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।

গ্রেপ্তারের পর বুধবার কাদের খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য লিটনকে গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর শাহাবাজ গ্রামে তার বাড়িতে গুলি করে হত‌্যা করা হয়।

তিনি খুন হওয়ায় শূন্য আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ২২ মার্চ। এ নির্বাচনে কাদের খান জাতীয় পার্টির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত জমা দেননি।

রংপুর পর্যটন মোটেলে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলা এবং দুই মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, এমপি লিটন হত্যা মামলায় কাদের খানকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আইনগত। তদন্তের পর পরিষ্কার হবে।

সুন্দরগঞ্জ উপ-নির্বাচনে শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব সাংসদ রুহুল আমীন হাওলাদারও একই সুরে কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আব্দুল কাদের খান আমাদের কেউ নন। দলের কোনো পদেও নেই। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাকে জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে উল্লেখ করা ঠিক হচ্ছে না।” 

এর আগে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে এরশাদ বলেন, “বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আমাকে জেলে ঢোকানোর চেষ্টা করেছিলেন। সেসময় রংপুরের ২১টি আসন না পেলে আমাকে জেলে যেতে হতো।

“এজন্য রংপরের মানুষের কাছে আমি চিরঋণী। আগামী সংসদ নির্বাচনে উত্তরাঞ্চলের সব আসন আমাদের পেতে হবে। জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখে মরতে চাই।” 

দলের কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সভাপতিত্বে বৈঠকে কাজী ফিরোজ রশীদও বক্তব্য রাখেন।