প্রতারণার মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার তারাপুর চা বাগানের ভূমি আত্মসাতে ব্যবসায়ী রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাইসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে করা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
Published : 15 Feb 2017, 02:38 PM
বুধবার সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে শেষ দিনে চার জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় বলে জানিয়েছেন ওই আদালতের অতিরিক্ত পিপি মাহফুজুর রহমান।
তিনি জানান, এ মামলায় ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ঠিক করেছে আদালত।
১৯৯০ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি করে প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে তারাপুর চা বাগানের ৪২২ দশমিক ৯৬ একর দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করেন রাগীব আলী।
এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির মামলার রায়ে রাগীব আলী ও তার ছেলের ১৪ বছরের সাজা হয়েছে।
১৯৯৯ সালের ২৫ অগাস্ট ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তারাপুর চা বাগান নিয়ে বিশেষ আলোচনা ও কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়। পরে এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের উপ-কমিটি গঠন করা হয়।
উপ-কমিটি চূড়ান্ত সুপারিশে তারাপুর চা বাগান অবৈধভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে দলিলপত্র সৃষ্টি করে প্রতারণামূলকভাবে লিজি হিসেবে দখলে রাখার জন্য রাগীব আলীর বিরুদ্ধে অবিলম্বে ফৌজদারি ও দেওয়ানী উভয়বিধ মামলা করতে বলে।
২০০৫ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতি এবং সরকারের এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা করে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাইকে আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে গত বছরের ১০ জুলাই আদালতে দুটি মামলার অভিযোগপত্র দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারোয়ার জাহান।
এদিকে পলাতক থেকে পত্রিকা সম্পাদনা করে প্রতারণার অভিযোগে করা অপর এক মামলায় দৈনিক সিলেটের ডাক-এর প্রকাশক ও সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি রাগীব আলী এবং পত্রিকাটির সাবেক সম্পাদক ছেলে আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে।
গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন নগরীর উপশহরের বাসিন্দা ও ছাতক প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গিয়াস উদ্দিন তালুকদার।