আহত মেয়েটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর হোসেন (১৮) নামের ওই তরুণকে আটক করা হয়েছে। তিনি হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্ণা গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জাহাঙ্গীর দীর্ঘদিন থেকে মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়াসহ উত্ত্যক্ত করছিল। এতে রাজি না হওয়ায় তার উপর হামলা করা হয়।
কেন্দ্রের রিসোর্স টিচার লতিফা আখতার বলেন, “দৃষ্টিসম্পন্ন প্রতিবন্ধী জাহাঙ্গীর প্রায় সময় রাগান্বিত থাকে। কয়েক মাস আগে তাকে শাসন করতে গেলে সে আমার উপরও চড়াও হয়।”
আরডিআরএস লালমনিরহাটের চিকিৎসক বিপুল চন্দ্র সরকার বলেন, জাহাঙ্গীর পুনর্বাসন কেন্দ্রের আবাসিক শিক্ষার্থী। তিনি লালমনিরহাট সরকারি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করেন। কেন্দ্রের বাসিন্দা মেয়েটিও পার্শ্ববর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে।
“শনিবার সকালে ভবনটির ছাদে কাপড় শুকাতে গেলে জাহাঙ্গীর মেয়েটিকে ছুরিকাঘাত করতে থাকে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে মেয়েটিকে উদ্ধার ও জাহাঙ্গীরকে আটক করে।”
বিকালে পুলিশ এসে জাহাঙ্গীরকে নিয়ে গেছে। ছেলে ও মেয়ের অভিভাবকদের ডেকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে প্রেমঘটিত কারণে এমনটি হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আজমল হক সাংবাদিকদের বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাত নিয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মেয়েটির শরীরের বেশ কয়েক জায়গায় ছোট-বড় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক।
ওসি রফিকুল বলেন, ছাত্রীকে ছুরিকাঘাতকারী জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা হবে।
এদিকে এ ঘটনায় শনিবার বেলা ৩টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করেছে আরডিআরএস কর্তৃপক্ষ।
এতে লিখিত বক্তব্যে আরডিআরএস লালমনিরহাটের প্রোগ্রাম ম্যানেজার এরশাদুল হক বলেন, ঠিক কী কারণে মেয়েটিকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
তবে আহত মেয়েটির যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয়ভার আরডিআরএস বহন করবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।