জেলা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মমতাজ উদ্দিন জানান, যাত্রীবাহী বাসের সামনের চাকা ফেটে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা গ্যাস সিলিন্ডার বহনকারী একটি কভার্ড ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে খুলনা থেকে নড়াইলের লোহগড়া হয়ে বাসটি ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার গজারিয়ায় এই দুর্ঘটনায় আগুন ধরে গেলে ১১ জন পুড়ে মারা যান।
পারভেজ ট্রান্সপোর্টের ওই কভার্ড ভ্যানটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক হয়ে খুলনার দিকে যাচ্ছিল।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক কামরুজ্জামান জানান, শরীরের অধিকাংশ পুড়ে যাওয়ায় ১০টি লাশ শনাক্ত করার মতো অবস্থায় নেই। তাদের লাশ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
নিহতদের স্বজনরা তিনজনের লাশ শনাক্ত করেছেন। তারা হলেন - কভার্ড ভ্যানের চালক যশোরের বাহাদুরপুরের আশা ইসলাম, হানিফ পরিবহনের চালক নড়াইলের হেমায়েত হোসেন ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নিনজা গ্রামের মো. গোলাম রসুল।
গোলাম রসুল ঢাকার ধানমন্ডির ইবনেসিনা হাসপাতালের চিকিৎসক।
এছাড়া বাসচালকের সহকারী জুয়েল ও বাসের যাত্রী নূর জালালকে তাদের স্বজনরা খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কামরুজ্জামান জানান, এখন ডিএনএ টেস্ট ছাড়া ওই ১০ জনের পরিচয় জানা সম্ভব না। ফরিদপুরে ডিএনএ টেস্টের ব্যবস্থা নেই। এটা ফরেনসিক বিভাগের কাজ।
“কেউ যদি আবেদন করেন তাহলে আমরা ঢাকা থেকে ডিএনএ টেস্টের ব্যবস্থা করব।”
ফরিদপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক কামরুজ্জামান বলেন, পরিচয় নিশ্চিত করতে না পারায় লাশগুলো হস্তান্তর করা যাচ্ছে না। পরিচয় জানতে পারলে স্বজনদের বুঝে দেওয়া হবে।
দুর্ঘটনায় পড়া গাড়ি দুটি উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি এজাজুল ইসলাম।
দুর্ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, “কভার্ড ভ্যানে বেশ কিছু গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। ধারণা করা হচ্ছে সংঘর্ষের সময় সেসব সিলিন্ডার ফেটে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।”