পিরোজপুরে গুদামে নষ্ট হচ্ছে হাজার টন গম

পিরোজপুরের কয়েকটি খাদ্যগুদামে ‘পোকায় খাওয়া’ এক হাজার মেট্রিকটনের বেশি গম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এসব গমের কোনো গতি করতে না পারায় বিপাকে পড়েছে জেলা খাদ্য বিভাগ 

মাস খানেকের মধ্যে অপসারণ করা না হলে এ গম ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়বে বলে খাদ্য বিভাগ জানিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খাদ্য পরিদর্শক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে ব্রাজিল ও আর্জেটিনার পোকায় খাওয়া গম আমদানি নিয়ে হইচইয়ের মধ্যে আনা ‘পোকায় খাওয়া’ এসব গম খাদ্য গুদামে রাখা হয়।

সময়মতো সরকারিভাবে পোকা প্রতিশোধক ওষুধ সরবরাহ না করায় পোকার আক্রমণে দ্রুত গমগুলো নষ্ট হচ্ছে বলে ওই পরিদর্শক জানান।

জেলা খাদ্য বিভাগ থেকে জানা যায়, জেলায় মোট ছয়টি গুদামে মোট এক হাজার ২১০ মেট্রিক টন গম রয়েছে। যার মধ্যে কাউখালী উপজেলায় ২০৭ মেট্রিক টন, নাজিরপুরের শ্রীরামকাঠীতে ১৮১ মেট্রিক টন, মবাড়িয়ায়ায় ১৭৬ মেট্রিক টন, তুষখালীতে ২৮০ মেট্রিক টন, ভান্ডারিয়ায় ২৫৩ মেট্রিক টন এবং নেছারাবাদ উপজেলার ইন্দেরহাটে ১১৩ মেট্রিক টন রয়েছে।

এসব গমের বর্তমান বাজার মূল্য টন প্রতি ২৮ হাজার ৯৯৪ টাকা হিসাবে তিন কোটি ৫০ লাখ ৮২ হাজার ৭৪০ টাকা বলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মনোতোষ কুমার মজুমদার জানান।

মনোতোষ কুমার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রেশনিং ব্যবস্থা চালু না থাকা এবং নতুন কোনো প্রকল্প না থাকায় মজুদকৃত গম ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

শিগগিরই এ গমগুলো ব্যবহার না করা হলে পোকায় সব গম খাদ্যের অনুপযোগী করে ফেলবে বলে আরো মনোতোষ মজুমদার জানান।