বিএনপির অভিযোগ, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীনরা এ অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনাটিকে বিএনপির নাটক বলেছে।
বরিশাল মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার গোলাম রউফ জানান, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর সদর রোড তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে মিছিলের প্রস্তুতি নিতে থাকে। একই সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও কিছুটা দূরে সদর রোডে অবস্থান নেয়।
“এক পর্যায়ে বিএনপি কার্যালয়ের দিক থেকে একটি বোতল ছুড়ে মারা হয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দিকে। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে বিএনপি কার্যালয়ের দিকে এগিয়ে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়।”
সংঘর্ষের মধ্যে ছাত্রলীগের কর্মীদের লাঠি হাতে চড়াও হতে দেখা যায়। কিছু সময় পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে গোলাম রউফের ভাষ্য।
বিএনপির বর্জনের মধ্যে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।
এ দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসা বিএনপি ঢাকা বাদে সারা দেশে বৃহস্পতিবার কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। অন্যদিকে ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ পালন করে আসা আওয়ামী লীগ আলাদা কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেছিল, জনগণ বিএনপিকে রাজপথে নামতে দেবে না।
এ ঘটনায় তাদের অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।
অন্যদিকে ঘটনার সময় উপস্থিত জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রাজ্জাক বলেন, “পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে বিএনপি হামলার নাটক সাজিয়েছে। তারা নিজেরই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ওপর দায় চাপাচ্ছে।”
আহতদের মধ্যে আজাদ নামে একজনকে দুপুরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তার দলীয় পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।