ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে গ্রেপ্তার রসরাজ দাসের জামিন শুনানির জন্য ১৬ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছে আদালত।
Published : 03 Jan 2017, 01:50 PM
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাঈল হোসেন মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে এই আদেশ দেন।
রসরাজের আইনজীবী মো. নাসির মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, আদালতে ফরেনসিক প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
“বিচারক মো. ইসমাঈল হোসেন অধিকতর শুনানির জন্য আগামী ১৬ জানুয়ারি পরবর্তী দিন ঠিক করে দিয়েছেন।”
রসরাজ নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের জগন্নাথ দাসের ছেলে।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর ফেইসবুকে ‘ইসলাম অবমাননার’ ছবি পোস্ট করার অভিযোগে ৩০ বছর বয়সী রসরাজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই অভিযোগ তুলে পরদিন ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরে ১৫টি মন্দিরসহ হিন্দুদের শতাধিক ঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
হামলার ঘটনায় স্থানীয় বারোয়ারি মন্দিরের পুরোহিতসহ দুই ব্যক্তি দুটি মামলা দায়ের করেন। প্রত্যেক মামলায় অজ্ঞাতনামা ১০০০ থেকে ১২০০ জনকে আসামি করা হয়।
হামলায় হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আঁখির সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে আসে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অনুসন্ধানে। প্রধান সন্দেহভাজন আখিঁর খোঁজ পায়নি পুলিশ এখনও।
হরিপুর ইউনিয়ন থেকে ১৪-১৫টি ট্রাক ভরে মানুষ আসার পর নাসিরনগরের হিন্দু পল্লীতে হামলা হয়। যেসব ট্রাকে হামলাকারীরা এসেছিল সেগুলোর ব্যবস্থা ও অর্থের যোগান চেয়ারম্যান আঁখি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে। সর্বশেষ ২ ডিসেম্বর আখিঁর ব্যক্তিগত সহকারী উত্তম কুমার দাস (২৫) ও ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মনোরঞ্জন দেবনাথকে (৪০) আটক করে পুলিশ।