সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার কচুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক অনুষ্ঠানে হলুদ খামে ভরে ওই সব ব্যক্তিকে টাকা ফেরত দেন তিনি।
পরে সাংসদ কুদ্দুস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সরকারি টাকায় জনগণকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছেন। এক্ষেত্রে কিছু লোক তদ্বিরের নামে টাকা তুলবে তা হতে পারে না।
“আমি বিষয়টি জানতে পেরে টাকা ফেরত না দিলে বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। অবশেষে টাকাও ফেরত দেওয়া গেছে, ১০৫টি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা হয়েছে।”
তবে টাকা আদায়কারীদের পরিচয় প্রকাশ বা তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না সে বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
এর আগে একইভাবে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার নেওয়া টাকাও গত জানুয়ারিতে এলাকাবাসীকে ফেরত দিয়েছিলেন নাটোর-৪ আসনের এ সাংসদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এক কর্মকর্তা বলেন, প্রায় দুই বছর আগে বড়াইগ্রাম উপজেলার মৃধা কচুয়াসহ আশপাশের গ্রামের ১০৫টি বাড়িতে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর থেকে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কিছু কর্মী গ্রাহকদের কাছ থেকে তদ্বির বাবদ প্রায় দুই লাখ টাকা আদায় করেন।
সোমবার সংসদ সদস্য অনুষ্ঠান করে ওই টাকা ফেরত দেন এবং বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্বোধন করেন।
কচুয়া গ্রামের কৃষক আবেদ আলী বলেন, “আমি সব টাকাই ফেরত পাইছি। এ টাকা যে ফেরত পাব তা কল্পনাও করতে পারিনি।”
মৃধা কচুয়া গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জাবেদ আলী বলেন, “তদ্বির না করলে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে না বলে ওরা টাকা নিয়েছিল। কিন্তু টাকা দেওয়ার কয়দিন বাদেই সব জানাজানি হয়।
“এমপি সাহেবও শুনেছিলেন। এ কারণে তিনি আমাদের ওপর রাগ করে এতদিন বিদ্যুৎ দিতে দেননি। আজ টাকাও দিছে, বিদ্যুৎও দিছে।”