বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদর উপজেলা কমান্ডার শহিদুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ চলাকালে নীলফামারী মহকুমার অনেক নিরীহ সাধারণ মানুষকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে পাকসেনারা।
“তাদের বর্বরতায় অতিষ্ঠ হয়ে নীলফামারীর মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পরে মুক্তিযোদ্ধারা ভারতে গিয়ে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নেন।”
ডিসেম্বরের শুরুর দিকে ৬ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার ক্যাপ্টেন খাদেমুল বাশারের নেতৃত্বে নীলফামারীতে হামলার পরিকল্পনা করা হয় বলে জানান কমান্ডার শহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ১২ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে হানাদার বাহিনী সৈয়দপুর সেনানিবাসে আশ্রয় নেয়।
“পরদিন ১৩ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করলে রাস্তায় নেমে আসে সাধারণ মানুষ। শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধা-জনতার বিজয় উল্লাস। এ সময় স্থানীয় চৌরঙ্গী মোড়ে উত্তোলন করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।”
দিবসটি উপলক্ষে নীলফামারী সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড ও সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।