বৃহস্পতিবার মেয়র প্রার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ আশ্বাস দেন তিনি।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় জাবেদ আলী বলেন,“আপনারা (প্রার্থীরা) জনগণের উপর আস্থা রাখুন। জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে সেখানে নির্বাচন কমিশনের কোনো হাত নেই। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের ব্যবস্থাপনা তৈরি করবে।”
এদিকে মত বিনিময় সভায় বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান আবারও সেনা মোতায়েনের দাবি জানান।
তিনি বলেন,“সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের কারণে সরকারের যে ক্ষমতা সেই ক্ষমতা কিন্তু পরিবর্তন হবে না। আমরা চাই এ নির্বাচন কমিশন যাওয়ার বেলায় তাদের যে দুর্নাম সুষ্ঠু নির্বাচন করে সেই দুর্নাম কমিয়ে মানুষকে স্বস্তি দিবেন।”
নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে লেভেল ফিল্ড তৈরি করা হয়নি অভিযোগ করেন বিএনপির এ প্রার্থী। সেইসঙ্গে ২২ ডিসেম্বরের আগে বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার দাবি জানান।
সাখাওয়াত বলেন, “আমি আবেদন করছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নারায়ণগঞ্জে সিটি নির্বাচনে অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।”
১৭৪টি কেন্দ্রের সবকটিই ঝুঁপিপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এর মধ্যে ৫৩টি কেন্দ্র অতিঝুঁকিপূর্ণ। এই কেন্দ্রগুলোতে ব্যবস্থা নিবেন বলে বিশ্বাস করি।”
তাছাড়া কেন্দ্রের মধ্যে ভোট গণনা করে ফলাফল ঘোষণার দাবি জানান বিএনপির এ প্রার্থী।
আওয়ামী লীগপ্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, “আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা করছি। এখানে যারা উপস্থিত আছেন তারা জানেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে আপনি আমি,আমরা কেউ বাইরে নই।
“সুষ্ঠু নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব নয়প্রার্থীদের এ দায়িত্ব পালন করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বাধ্য করতে হবে।”
সরকারি দল হিসেবে কোনো সুবিধা নেননি দাবি করে তিনি বলেন, “আমি সুবিধা চাইও না।আমি সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবি করছি।মানুষ যাকে ভোট দিবে সেই নির্বাচিত হবে এবং যে ফলাফল হবে মেনে নিব।”
বিএনপি প্রার্থীর সঙ্গে আইভীও অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তার এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান।
প্রার্থীদের উদ্দেশেজাবেদ আলী বলেন, নির্বাচনের সময় কোনো অপরাধ অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য একট নির্বাচন করার জন্য যে ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রয়োজন তাই করা হবে।
“ভোটারা যাতে নির্বিঘ্নি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে এর মধ্যেই জেলা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং তারা সেই মোতাবেক কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা যদি আচরণ বিধি মেনে নির্বাচনী প্রচারণা চালালেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশননির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার মঈনুল হক, র্যাব-১১ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক কামরুল হাসান প্রমুখ।