উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নে ধোপাডাঙ্গা বানিয়াপাড়া মহল্লায় শুক্রবার সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকতা এনামুল হক বলেন, বানিয়াপাড়ার স্বর্ণকার নরেশচন্দ্র রায়ের রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুন লাগে। আগুন বৈদ্যুতিক তারে লাগলে শর্টসার্কিটে পরিণত হওয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে বলে তিনি জানান।
গোড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. মমতাজুল হক জানান, আগুনে ওই মহল্লার ৪৪ পরিবারের অন্তত ১২০টি বসঘর, ধান, চাল, পাট, ভুট্টাসহ প্রায় সবকিছু পুড়ে গেছে। একটা ছাগল ও কয়েকটা হাঁস-মুরগি পুড়ে মারা গেছে।
আগুন নেভাতে গিয়ে অন্তত সাতজন আহত হলে তাদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
রাতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুজার রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মো. বেলায়েত হোসেন ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। তারা উপজেলা পরিষদ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের দুটি করে কম্বল দেন। তাছাড়া প্রত্যেক পরিবারকে দুই হাজার করে টাকা ও ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
আজিজুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক চিকিৎসক প্রত্যেক পরিবারকে একটি করে কম্বল ও একটি করে শাড়ি দিয়েছেন।
একই সময় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের পক্ষ থেকে একটি করে কম্বল, একটি করে শাড়ি ও একটি করে লুঙ্গি দেওয়া হয়।
গোড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম জানান, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে রাতের খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি নীলফামারী ইউনিটের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে ১২টি অস্থায়ী তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের রাত্রিযাপনের জন্য।