শনিবার ভোরে মিয়া জমির শাহ এলাকায় এ হামলা ও হতাহতের ঘটনা নিশ্চিত করেন মনপুরা থানার এসআই মোফাজ্জল হোসেন।
নিহত কামাল মাঝির লাশ মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গুলিবিদ্ধ ছয় জেলে হলেন- মো. মহিউদ্দিন, রুবেল, হোসেন, নয়ন, জুয়েল ও সাইফুল।
তাদের মধ্যে রুবেল, নয়ন ও জুয়েলকে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং অপর তিনজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রুবেল, নয়ন ও জুয়েল জানান, মনপুরার কামাল মাঝি নয় জেলে নিয়ে মনপুরার মিয়া জমিরশাহ সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ইলিশ মাছ ধরতে জাল ফেলে। জাল টানা শেষ হলে ঘাটে ফেরার ঠিক আগে পেছন থেকে ‘জলদস্যুদের’ একটি ট্রলার তাদের ধাওয়া করে।
বিষয়টি তারা বুঝতে পেরে দ্র্রুত ইঞ্জিন চালিয়ে ঘাটের দিকে রওনা দেন। ওই সময় পিছন থেকে ‘জলদস্যুরা’ এলোপাথাড়ি ছড়ড়া গুলি ছুড়লে আহত হয়ে কামাল মাঝি মেঘনায় পড়ে যান বলে জানান তারা।
স্থানীয় আড়দতার মো. ফারুক কোম্পানী খবর পেয়ে মেঘনা নদী থেকে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান বলে আহত জেলেরা জানান।
এ ব্যাপারে হাতিয়া জোনের কোস্টগার্ড ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ওমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা জলদস্যুদের হামলার ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে মেঘনায় অভিযান পরিচালনা করি। আমাদের কয়েকটি টিম ইতিমধ্যে মেঘনার বিভিন্ন চরে অভিযান পরিচালনা করছে।