সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজের ফেইসবুক পাতায় এক স্ট্যাটাসে তিনি একথা লেখেন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনের নিজ কক্ষ থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহানের (৪৫) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
তার ঘর থেকে অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে একটি সুইসাইড নোটও জব্দ করা হয়।
আকতার জাহানের সাবেক স্বামী তানভীর আহমদও একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তাদের একমাত্র ছেলে হলেন আয়মান সোয়াদ আহমেদ।
“অনুমতি চাওয়ার সময় আব্বা বলে ‘তোমার আম্মাকে বলো ওর মত চলে যেতে। আমি তোমাকে দিয়ে আসবো।”
এ বিষয়টি নিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
সোয়াদ আরও লেখেন, “পরে সন্ধ্যা বেলায় আব্বাকে বলি ‘প্ল্যানটা নষ্ট করার জন্য ধন্যবাদ’ তখনি আব্বা বলে উঠে ‘তুই কি ঝগড়া লাগাইতে চাস? তোর আম্মার মত হয়েছিস।’
এভাবে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাবা তার গলায় ছুরি ধরেন বলে সোয়াদ জানান।
“আব্বা তখনি রান্নাঘরে গিয়ে একটা বড় চাকু নিয়ে এসে আমার গলায় ধরে বলে ‘কি বললি? শুনতে পাইনি।”
পরে তিনি চাকুটা ছুড়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে চলে যান বলে লেখেন সোয়াদ।
আকতার জাহানের ঘরে পাওয়া ‘সুইসাইড নোটে’ লেখা ছিল- ‘যে বাবা তার সন্তানের গলায় ছুরি ধরতে পারে, সে যে কোন সময় সন্তানকে মেরেও ফেলতে পারে বা মরতে বাধ্য করতে পারে।’
আকতার জাহানের মৃত্যুর পরদিন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে মতিহার থানায় মামলা করেন আকতার জাহানের ছোট ভাই কামরুল হাসান রতন।
মামলায় বলা হয়, সুইসাইড নোট থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, তিনি (আকতার জাহান) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কারও দ্বারা প্ররোচিত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।