পানির পাম্প আয়রন জমে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শনিবার থেকে রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না বলে জানান সহকারী পরিচালক অমৃত লাল বিশ্বাস।
হাসপাতালের পানির পাম্প অপারেটর সুব্রত কুমার হালদার বলেন, পাম্প দিয়ে প্রচুর আয়রন ও বালু ওঠে। পাইপে আয়রন জমে ব্লক হওয়ায় পানি উঠছে না।
এখানে দৈনিক ২৫ হাজার লিটার পানির চাহিদা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগে ১৫ ঘণ্টা চালালেই ৩০ হাজার লিটার পানি উঠত। এখন ১৫ দিন চালিয়েও ৩০ হাজার লিটার পানি ওঠানো যাচ্ছে না।
এ কারণে নতুন করে রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না। যারা আগে থেকে আছেন তারা বাইরে থেকে পানি কিনে নিচ্ছেন।
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার খাকান্দা গ্রামের চক্ষু রোগী ৬০ বছর বয়সী আমেনা বেগম হাসপাতালে এসেও ভর্তি হতে পারেননি।
“চোখ অপারেশন করাতে এসেছিলাম। হাসপাতালে পানি নেই বলে ভর্তি করেনি।”
সহকারী পরিচালক অমৃত লাল বলেন, “রোববার পৌরসভার গাড়ি থেকে এক হাজার টাকায় ৬ হাজার লিটার পানি কিনে সরবরাহ করা হয়েছে, যেখানে দরকার ২৫ থেকে ৩০ হাজার লিটার। পানি কিনে হাসপাতাল চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।”
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আগেও জানানো হয়েছে এবং বন্ধ হওয়ার পর চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
পানির অভাবে স্টাফ কোয়ার্টর চালু করা যাচ্ছে না বলেও তিনি জানান।
দক্ষিণাঞ্চলের মানুষকে আধুনিক চক্ষুসেবা দিতে গোপালগঞ্জ শহরতলির ঘোনাপাড়ায় আন্তর্জাতিক মানের এই চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ বছরই ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।