মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি পারাপার বিলম্বিত হওয়ায় দুপ্রান্তে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
Published : 02 Sep 2016, 06:44 PM
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয় ফেরি পারাপারে বিঘ্ন হওয়ার কথা স্বীকার করলেও দৌলতদিয়া কার্যালয় তা অস্বীকার করেছে।
এদিকে শুক্রবার দৌলতদিয়া ঘাটে দীর্ঘ সময় আটকে থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে ঢাকাগামী যাত্রীর।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় থেকে জানা গেছে, পদ্মার প্রবল স্রোতে দৌলতদিয়ায় চারটি ঘাটের মধ্যে ১ নম্বর ঘাটটি সম্পূর্ণ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ৩ নম্বর ঘাটটিও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ কারণে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় এ ঘাটটি দিয়ে ফেরিতে যানবাহন ওঠানামা বন্ধ থাকে।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মহিউদ্দিন রাসেল বলেন, গত মঙ্গলবার ঘাটটি সংস্কার করা হয়। বর্তমানে ২ ও ২ নম্বর ঘাটের একটি করে পকেট দিয়ে ফেরিতে যানবাহন ওঠানামা করানো হচ্ছে।
“এ ছাড়া গত কয়েকদিনে এই নৌপথে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরিগুলো চলাচল করতে প্রচণ্ড বেগ পেতে হচ্ছে। এ কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে ফেরিগুলোকে চলতে প্রায় তিনগুণ সময় বেশি লাগছে। এসব কারণে ফেরির ট্রিপ সংখ্যাও কমে গেছে।
তিনি বলেন, এ নৌপথে ১৮ ফেরি থাকলেও বর্তমানে ১৪টিতে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ঘাট সংকট ও স্রোতের বিপরীতে চলতে সমস্যার কারণে বাকি ফেরিগুলো বসে আছে।
শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে পাটুরিয়া প্রান্তে শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ও দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক নদী পারের অপেক্ষায় ছিল বলে জানান মহিউদ্দিন।
যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে যাত্রীবাহী বাসগুলোকে আগে পারাপার করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, বেনাপোল থেকে ঢাকাগামী সোহাগ পরিবহনের যাত্রী দেবদুলাল দেব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা দৌলতদিয়া এসে পৌঁছেনে বেলা ১টায়। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর ফেরিতে উঠতে পেরেছেন সন্ধ্যা ৬টায়।
দৌলতদিয়া বিআইডব্লিউটিসির ঘাট ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে চারটি ঘাটের মধ্যে তিনটি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ফেরি চলছে ১৪টি।
“বিকাল ৪টা পর্যন্ত ফেরিঘাটে ৭০/৮০টি বাস এবং প্রায় অর্ধশত গবাদি পশুর ট্রাকসহ দুই শতাধিক ট্রাক নদী পারাপারের অপেক্ষায় ছিল। তবে সিরিয়াল রক্ষণাবেক্ষণ করে সুশৃঙ্খলভাবে এসব গাড়ি পারাপার অব্যাহত রয়েছে।”
শফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ-কলকাতার মধ্যকার চলমান যাত্রীবাহী বাসগুলো সরাসরি পারাপার করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এসব বাসকে ঘাটে এসে পারাপারের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে না।
বিআইডব্লিউটিএ-এর উপসহকারী প্রকৌশলী শাহ আলম বলেন, সম্প্রতি নদী ভাঙন এবং প্রচণ্ড স্রোতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ১ নম্বর ফেরিঘাটটির জরুরি মেরামত কাজ শুরু হয়েছে।
আগামী সোমবার নাগাদ এই ঘাট চালু হলে ফেরিতে ঈদে ঘরমুখো যাত্রী এবং যানবাহন পারাপার সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করছেন।