সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবু জাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের ছড়ান হিন্দুপাড়া এলাকার আদুরি রানী (৩৫) ও তার দ্বিতীয় স্বামী বিপীন চন্দ্র (৪০)।
রায়ের সময় বিপীন চন্দ্র আদালতে হাজির থাকলেও জামিন নিয়ে আদুরি পলাতক রয়েছেন বলে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফারুক মোহাম্মদ রেয়াজুল করিম জানিয়েছেন।
মামলার নথির বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী জানান, ছড়ান হিন্দুপাড়া এলাকার বিকাশ চন্দ্রকে ছেড়ে একই এলাকার বিপীন চন্দ্রকে বিয়ে করেন আদুরি। দ্বিতীয় বিয়ের পর আদুরির ছেলে বিশাল চন্দ্র আনন্দ (৫) তার নানা জগদীশ চন্দ্রের বাড়িতে থাকত।
“আনন্দ মাঝে মাঝে মায়ের কাছে যেত। তার এই আসা যাওয়া মেনে নিতে পারেননি বিপীন। এনিয়ে বিপীনের সঙ্গে আদুরির মনোমলিন্য দেখা দেয়। এর জেরে ২০১৪ সালের ১১ এপ্রিল দুপুরে আদুরি বাবার বাড়ি থেকে ছেলেকে নিজের কাছে নিয়ে আসে। সন্ধ্যা পর্যন্ত আনন্দের সন্ধান না পাওয়ায় তার নানা-নানি বিষয়টি পুলিশকে জানায়।”
পুলিশ ওইদিন সন্ধ্যায় বিপীনের বাড়ির গোয়াল ঘরের মেঝে খুঁড়ে বিশালের লাশ উদ্ধার করে। বিপীন ও আদুরি ছেলে আনন্দকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যার পর লাশ গোয়াল ঘরে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে বলে জানান তিনি।
পিপি বলেন, ওই দিনই মিঠাপুকুর থানার তৎকালীন উপ পরিদর্শক (এসআই) মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে বিপীন ও আদুরিকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে আদুরি ও বিপীন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
একই বছরের ৮ জুলাই দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।