বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সাতনাফুরিয়া গ্রাম থেকে আরজিনা খাতুন নামে ৩০ বছর বয়সী ওই নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয় বলে শালিখা থানার ওসি আবু জিহাদ খান জানান।
আরজিনা শালিখা উপজেলার শতপাড়া গ্রামের হারেজ সরদারের মেয়ে। তার স্বামী স্থানীয় কৃষক আব্দুর মান্নানসহ শ্বশুড়বাড়ির লোকজন ঘটনার পর থেকে পালাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরজিনার স্বজনদের অভিযোগ, শ্বশুড়বাড়ির লোকজন তাকে হত্যার পর গলার দড়ি বেঁধে বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করে।
আরজিনার ভাই ওহিদুজ্জামান বাবু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ১৬ বছর আগে তার বোনের সঙ্গে মান্নানের বিয়ে হয়। ওই পরিবারের লোকজন ‘যৌতুকের দাবিতে’ প্রায়ই আরজিনাকে ‘মারধর করত’।
“সকালে মান্নানের বাড়ির লোকেরা খবর দেয়, আরজিনা স্ট্রোক করে মারা গেছে। আমরা আরজিনার শ্বশুড়বাড়ি গেলে জানানো হয়, আরজিনা গলায় দড়ি নিয়েছে।”
ওহিদুজ্জামান বলছেন, তারা আরজিনার শরীরে ও ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছেন। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলেই তাদের বিশ্বাস।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি আবু জিহাদ খান বলেন, “নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে আরজিনার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।