যুদ্ধাপরাধের দায়ে কিশোরগঞ্জের চার রাজাকারের ফাঁসি ও একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন স্বজনরা।
Published : 03 May 2016, 04:07 PM
মঙ্গলবার রায় ঘোষণার পরপরই জেলা শহরে মুক্তিযোদ্ধারা আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেন।
বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যুদ্ধাপরাধের দায়ে কিশোরগঞ্জের চার রাজাকারকে মৃত্যুদণ্ড ও এক জনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- করিমগঞ্জ উপজেলার মধ্যপাড়া গ্রামের অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন আহমেদ (৬০), তার ভাই অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন নাসিরউদ্দিন আহমেদ (৬২), চরপাড়া গ্রামের রাজাকার কমান্ডার গাজী আব্দুল মান্নান (৮৮) ও খুদির জঙ্গল গ্রামের হাফিজউদ্দিন (৬৬)।
আর আমৃত্যু কারাদণ্ড পেয়েছেন হাইদনখালি গ্রামের আজহারুল ইসলাম (৬০)।
সরেজমিনে দেখা যায়, রায় ঘোষণারা পর পরই মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা ইউনিট কমান্ড একটি আনন্দ মিছিল বের করে।
পরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তরা অবিলম্বে ফাঁসির রায় কার্যকরের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
এদিকে মুক্তিযুদ্ধে নিহতের স্বজনরা ফাঁসির রায়ে অভিনন্দন জানিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করে দণ্ড কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন।
একাত্তরে নিহত আব্দুল হামিদের ছেলে ও মামলার সাক্ষী দুলাল মিয়া বলেন, রায়ের ফলে দীর্ঘদিনের চাপা কষ্ট দূর হয়েছে। তারা এখন রায় কার্যকর দেখতে চান।
নিহত পরেশের বন্ধু ও মামলার সাক্ষী আব্দুর রশীদ ভুইয়া বলেন, “আমার বন্ধুকে হত্যার পর তার লাশ দাহ করতে নিষেধ করা হয়েছিল। অন্যথায় পুরো গ্রাম পুড়িয়ে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়েছিল।”
“আমরা বিচারের আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। দীর্ঘদিন পর বিচার হওয়ায় আজ আমাদের আনন্দের দিন।”
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের করিমগঞ্জ উপজেলা ইউনিট কমান্ডার মেহেদি উল আলম বলেন, “এই রায় আমাদের প্রত্যাশিত। এর ফলে মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষ আনন্দিত।”
রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান তিনি।
দণ্ডিতদের মধ্যে ২০১৪ সালের ২৭ নভেম্বর শামসুদ্দিন আহমেদ আটক হয়ে কারাগারে আছেন। বাকি চারজন পলাতক।